Bengal during the Mughal period ।। মুঘল সময়ে বাংলা অধ্যায় । History G.K। Indian History G.K। History g.k questions Answer in Bengali। All competitive exams questions Answer। B.A Honours History। মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসের প্রশ্ন উত্তর।
১. বাংলায় কে কররানি বংশের শাসন প্রতিষ্ঠা করেন কররানী শাসকদের রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ- বাংলায় কররানী বংশের প্রতিষ্ঠা করেন তাজ খাঁ কররানী (১৫৬৪ খ্রিস্টাব্দ)। কররানী শাসকদের রাজধানী ছিল টান্ডা।
২. কালাপাহাড় কে?
উঃ- কালাপাহাড় ছিলেন ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত এক ব্রাহ্মণ। তিনি বাংলার শাসক সুলেমান কররানীর সেনাপতি ছিলেন। আসাম ও উড়িষ্যা তিনি জয় করেছিলেন। মন্দির লুণ্ঠনকারী হিসাবে তিনি কুখ্যাত হয়ে আছেন।
৩. কালাপাহাড় কোন শাসকের সেনাপতি ছিলেন ?
উঃ- বাংলার শাসক সুলেমান কররানীর সেনাপতি ছিলেন কালাপাহাড়।
৪.কোন শাসককে পরাজিত করে বাংলায় মুঘল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়?
উঃ- দাউদ খাঁ কররানীকে পরাজিত করে বাংলায় মুঘল কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় (১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দ)।
৫. মানসিংহ কোথায় বাংলার নতুন রাজধানী স্থাপন করেন? তিনি এর কী নামকরণ করেন ?
উঃ- মানসিংহ বাংলার নতুন রাজধানী স্থাপন করেন রাজমহলে। তিনি এর নামকরণ করেন আকবরনগর।
৬. ঢাকাতে কে বাংলার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন? তিনি ঢাকার কী নাম দেন?
উঃ- জাহাঙ্গীরের সময়ে বাংলার সুবাদার ইসলাম খাঁ ঢাকাতে বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন। তিনি ঢাকার নাম দেন জাহাঙ্গীরনগর।
৭. সুবাদার শাহ সুজার সময়ে বাংলার রাজধানী কোথায় ছিল?
উঃ সুবাদার শাহ সুজার সময়ে বাংলার রাজধানী ছিল রাজমহল।
৮.সুবাদার মীরজুমলা কোথায় বাংলার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন ও কেন ?
উঃ- সুবাদার মীরজুমলা রাজমহল থেকে বাংলার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন ঢাকা শহরে আরাকানী ও পর্তুগীজ জলদস্যুদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য মীরজুমলা এই ব্যবস্থ গ্রহণ করেছিলেন।
৯. মীরজুমলা কত খ্রিস্টাব্দে কুচবিহার জয় করেন ? তিনি এই শহরের কী নামকরণ করেন ?
উঃ- মীরজুমলা ১৬৬১ খ্রিস্টাব্দে কুচবিহার জয় করেন।মীরজুমলা কুচবিহার শহরের নামকরণ করেন আলমগীর নগর।
১০. শায়েস্তা খান কত খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার হন? তিনি কত খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম অধিকার করেন? তিনি এই শহরের কী নামকরণ করেন?
উঃ- মার্চ ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে শায়েস্তা খান বাংলার সুবাদার হন। শায়েস্তা খান আরাকানদের পরাজিত করে জানুয়ারি ১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রাম অধিকার করেন। শায়েস্তা খান চট্টগ্রাম শহরের নামকরণ করেন ইসলামাবাদ।
১১.প্রঃ শোভা সিং কে?
উঃ- ঔরঙ্গজেবের সময়ে মেদিনীপুরের অন্তর্গত চিতুয়া-বরদা পরগণার জমিদার ছিলেন শোভা সিংহ যিনি ১৬৯৬-১৬৯৭ খ্রিস্টাব্দে মুঘল কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। প্রথমে তিনি বর্ধমান অঞ্চল অধিকার করে রাজা উপাধি গ্রহণ করেন ও পরে মুর্শিদাবাদ ও হুগলির বিস্তৃত অঞ্চলে নিজ কর্তৃত্ব স্থাপন করেন। শোভা সিংহকে সাহায্য করেছিলেন। উড়িষ্যার পাঠান সর্দার রহিম খাঁ। ইংরাজ ও পর্তুগীজদের সাহায্যে মোগল বাহিনী শেষ পর্যন্ত শোভা সিংহকে পরাজিত ও নিহত করে। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের মতে বর্ধমানরাজের শোষণের ফলে দেখা দেওয়া আদিবাসী বিদ্রোহকে ব্যবহার করে শোভা সিংহ তার রাজনৈতিক ইচ্ছাপূরণ করেছিলেন।
১২. প্রতাপাদিত্য কে?
উঃ- আকবর বাংলা জয় করলেও বেশ কিছু জমিদার তার কর্তৃত্ব মানতে অস্বীকৃত হয়েছিল। এই অস্বীকৃত জমিদাররা বারো ভূঁইয়া নামে পরিচিত। এদের অন্যতম ছিলেন যশোর-খুলনা অঞ্চলের জমিদার প্রতাপাদিত্য বা প্রতাপ রায়। দীর্ঘকাল মুঘল বাহিনীকে প্রতিরোধ করলেও শেষ পর্যন্ত তিনি সুবাদার ইসলাম শাহের বাহিনীর কাছে পরাজিত ও বন্দী হয়েছিলেন।
১৩.মুর্শিদকুলি খাঁর প্রকৃত নাম কী? তাকে মুর্শিদকুলি খাঁ উপাধি কে দিয়েছিলেন এবং কেন ?
উঃ- মুর্শিদকুলি খাঁর প্রকৃত নাম মহম্মদ হাদী। তাকে মুর্শিদকুলি খাঁ উপাধি দিয়েছিলেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। বাংলার দেওয়ান হিসাবে কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য ঔরঙ্গজেব এই উপাধি দিয়েছিলেন।
১৪.মুর্শিদকুলি খাঁ প্রথম কত খ্রিস্টাব্দে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন? তিনি দ্বিতীয়বারের জন্য কত খ্রিস্টাব্দে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন।
উঃ- মুর্শিদকুলি খাঁ প্রথম ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন।
মুর্শিদকুলি খাঁ দ্বিতীয়বারের জন্য ১৭১০ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দেওয়ান নিযুক্ত হন।
১৫.মুর্শিদকুলি খাঁ কত খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন এবং কার দ্বারা?
উঃ- মুর্শিদকুলি খাঁ ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। সম্রাট ফারুকশিয়ার দ্বারা মুর্শিদকুলি বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হয়েছিলেন।
১৬. সুবাদার মুর্শিদকুলি খাঁর উপাধি কী ছিল?
উঃ- সুবাদার মুর্শিদকুলি খাঁর উপাধি ছিল আলাউদ্দিন জাফর খান বাহাদুর।
১৭. মুর্শিদকুলি খাঁর রাজধানীর নাম কী? এর পূর্বনাম কী ছিল ?
উঃ- মুর্শিদকুলি খাঁর রাজধানীর নাম মুর্শিদাবাদ। এর পূর্বনাম ছিল মুকসুদাবাদ।
১৮. মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলাকে কয়টি প্রশাসনিক এককে বিভক্ত করেছিল?
উঃ- মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলা সুবাকে তেরোটি চাকলাতে বিভক্ত করেছিলেন।
১৯. মালজমিনী ব্যবস্থা কী?
উঃ- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার অনুসারে মুর্শিদকুলি বাংলার জমিদারদের কাছ থেকে অনাদায়ী রাজস্ব আদায় করে রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রে এক নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তার মতে মুর্শিদকুলি জামিন হিসাবে অর্থ জমা নিয়ে প্রতি মহালে রাজস্ব সংগ্রহের জন্য চুক্তির ভিত্তিতে আমিল নিযুক্ত করেছিলেন। এই আমিলরা আদায় করা রাজস্বের একটা নির্দিষ্ট অংশ লাভ করত বলে আচার্য সরকার অভিমত প্রকাশ করেছেন। তিনি এই ব্যবস্থাকে মালজমিনী ব্যবস্থা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।
২০. মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর কে বাংলার নবাব হন?
উঃ- মুর্শিদকুলি খাঁর মৃত্যুর পর বাংলার নবাব হন তার জামাতা সুজাউদ্দিন মহম্মদ খান (জুন ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দ)।
২১. সুজাউদ্দিনের শাসনকালে বীরভূমের কোন জমিদার বিদ্রোহ করেন?
উঃ- সুজাউদ্দিনের শাসনকালে বীরভূমের জমিদার বদিউজ্জামান খান বিদ্রোহ করেন (১৭৩৬ খ্রিস্টাব্দ)।
প্রঃ২২. সুজাউদ্দিনের মৃত্যুর পর কে বাংলার নবাব হন?
উঃ- সুজাউদ্দিনের মৃত্যুর পর বাংলার নবাব হন তার পুত্র সরফরাজ খান।
২৩. আদিবর্দি খান কীভাবে বাংলার নবাব হন। আলিবর্দি খানের প্রকৃত নাম কী ?
উঃ- এপ্রিল ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে বাংলার নবাব সরফরাজ খানকে পরাজিত ও নিহত করে আলিবর্দি খান বাংলার নবাব পদ অধিকার করেন। আলিবর্দি খানের প্রকৃত নাম মীর্জা মহম্মদ বা মীর্জা বন্দে খান।
২৪. আলিবর্দি খানের শাসনকালে কে ১৭৪২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা আক্রমণ করেছিলেন?
উঃ- আলিবর্দি খানের শাসনকালে ১৭৪২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা আক্রমণ করেছিলেন মারাঠা সেনাপতি ভাস্কর পণ্ডিত।
২৫. কোন পেশোয়া মুর্শিদাবাদে আলিবর্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন? আলিবর্দি মারাঠাদের কী অধিকার দিয়েছিলেন?
উঃ- পেশোয়া বালাজী বাজীরাও মার্চ ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদে আলিবর্দির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আলিবর্দি মারাঠা শাসক শাহকে বাংলায় চৌথ আদায়ের অধিকার দিয়েছিলেন।
২৬. ভাস্কর পণ্ডিত কত খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বার বাংলা আক্রমণ করেন ?
উঃ- ভাস্কর পণ্ডিত ১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বার বাংলা আক্রমণ করেন।
২৭. ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে আলিবর্দি মারাঠাদের সঙ্গে যে-চুক্তি করেছিলেন তার দুইটি শর্ত লেখ।
উঃ- ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে আলিবর্দি মারাঠাদের সঙ্গে যে-চুক্তি করেছিলেন তার দুইটি শর্ত হলো ১। মারাঠা বাহিনী সুবর্ণরেখা নদী অতিক্রম করবে না।
২। বাংলার রাজস্ব থেকে রঘুজী ভোঁসলেকে চৌথ হিসাবে বছরে বারো লক্ষ টাকা দেওয়া হবে।
২৮. আলিবর্দি খানের মৃত্যুর পর কে বাংলার নবাব হন?
উঃ আলিবর্দি খানের মৃত্যুর পর বাংলার নবাব হন তার তৃতীয় কন্যা আমিনা বেগমের জ্যেষ্ঠপুত্র সিরাজদ্দৌলা (এপ্রিল ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ)।
২৯. মুঘল যুগের বাংলার দুইটি বন্দরের নাম করো।
উঃ মুঘল যুগের বাংলার দুইটি বন্দর চট্টগ্রাম ও সপ্তগ্রাম।
No comments:
Post a Comment