Rise of Sikh Nation। শিখ জাতির উত্থান। History G.k। History g.k questions Answer in Bengali। All competitive exams questions Answer 2022।
শিখ জাতির উত্থান : নানক থেকে বান্দা
১. শিখ কাদের বলে? শিখ ধর্মের প্রথম ও শেষ গুরুর নাম কী?
উঃ- শিখ শব্দের অর্থ শিষ্য। নানকের শিষ্যরা শিখ হিসাবে পরিচিত। শিখ ধর্মের প্রথম গুরু নানক এবং শেষ শুরু গোবিন্দ সিংহ।
২. গুরু নানকের পরবর্তী চার গুরুর নাম করো।
উঃ- গুরু নানকের মৃত্যুর পর শুরু হন যথাক্রমে— অঙ্গদ, অমরদাস, রামদাস ও অর্জুন।
৩. কোন মুঘল সম্রাট শুরু রামদাসকে জমি দান করেছিলেন?
উত্তর- মুঘল সম্রাট আকবর গুরু রামদাসকে অমৃতসরে জমি দান করেছিলেন।
৪. কোন গুরুর সময় থেকে শিখ ধর্মের গুরুপদ বংশানুক্রমিক হয়ে যায় ?
উঃ- গুরু অর্জুনের সময় থেকে শিখ ধর্মের গুরুপদ বংশানুক্রমিক হয়ে যায়।
৫. জাহাঙ্গীর গুরু অর্জুনকে কেন বন্দী করেছিলেন? গুরু অর্জুন কীভাবে মারা যান ?
উত্তর- বিদ্রোহী পুত্র খসরুকে আশীর্বাদ ও অর্থ সাহায্য দান করেছেন— এই অপরাধে জাহাঙ্গীর শুরু অর্জুনকে আর্থিক জরিমানা করেন। গুরু অর্জুন এই জরিমানা প্রদান না করায় তাকে বন্দী করা হয়েছিল। লাহোর দুর্গে বন্দী গুরু অর্জুন শারীরিক অত্যাচারের ফলে মারা যান (১৬০৬ খ্রিস্টাব্দ)।
৬. জাহাঙ্গীর কোন শিখ গুরুকে বারো বছর বন্দী করার আদেশ দিয়েছিলেন?
উঃ- জাহাঙ্গীর শিখ গুরু হরগোবিন্দকে গোয়ালিয়র দুর্গে বারো বছর বন্দী করার আদেশ দিয়েছিলেন।
৭. মুঘল উত্তরাধিকার যুদ্ধে শিখ গুরু হররায় কাকে সমর্থন করেছিলেন? তার মৃত্যুর পর ঔরঙ্গজেব কাকে গুরু হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন?
উঃ- মুঘল উত্তরাধিকার যুদ্ধে শিখ গুরু হররায় সমর্থন করেছিলেন দারাকে। হররায়ের মৃত্যুর পর ঔরঙ্গজেব গুরু হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন হরকিষেণকে।
৮. কোন শিখ গুরু 'সাচ্চা পাদশাহ' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন?
উঃ- শিখ গুরু তেগ বাহাদুর সাচ্চা পাদশাহ' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।
৯. ঔরঙ্গজেব কোন শিখ গুরুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন?
উঃ ঔরঙ্গজেব শিখ গুরু তেগ বাহাদুরকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।
'১০.জাফরনামা' কী?
উঃ মুঘল বাহিনীকে বাধাদানের অপরাধে ঔরঙ্গজেব গুরু গোবিন্দকে দক্ষ্যিাত্যের রাজসভাতে উপস্থিত হবার আদেশ দিলে গুরু গোবিন্দ ফারসি ভাষাতে ১১টি ছন্দোবদ্ধ পংক্তির মাধ্যমে যে জবাব দিয়েছিলেন তা 'জাফরনামা' নামে পরিচিত।।
১১. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর গুরু গোবিন্দ কোন যুবরাজকে সমর্থন করেছিলেন?
উঃ- ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর গুরু গোবিন্দ যুবরাজ মুয়াজ্জেমকে সমর্থন করেছিলেন।
১২.গুরু গোবিন্দের মৃত্যুর পর শিখদের কে নেতৃত্ব দেন ?
উঃ গুরু গোবিন্দের মৃত্যুর পর শিখদের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন বান্দা বাহাদুর।
১৩. বান্দা বাহাদুর কে?
উঃ গুরু গোবিন্দের হত্যার পর ১৭০৮-১৫ খ্রিস্টাব্দ সময়ে শিখদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বান্দা বাহাদুর। তার প্রকৃত নাম ছিল লছমন দাস। তিনি শিখদের একত্রিত করে কৈথাল, আম্বালা, সিরহিন্দ, সাহারানপুর সহ এক বিস্তীর্ণ স্থানে শিখ কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিলেন। স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে তিনি মুদ্রাও প্রকাশ করেছিলেন। ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দে গুরুদাসপুর যুদ্ধে তিনি মুঘলদের কাছে পরাজিত ও বন্দী হন এবং তাকে হত্যা করা হয়।
১৪. সঙ্গত কী ? উঃ নিজ বাণী ও আদর্শ প্রচার করার জন্য গুরু নানক যে-আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলি গড়ে তুলেছিলেন সেগুলিকে সঙ্গত বলা হতো।
১৫. মঞ্জি (মঞ্জিম) কী ?
উঃ শুরু অমরদাস তার প্রভাবিত অঞ্চলকে বাইশটি অংশে বিভক্ত করেছিলেন। এই অংশগুলিকে মঞ্জি বলা হতো। অমরদাস প্রতি মঞ্জির দায়িত্ব একজন ধর্মাত্মা শিখের উপর অর্পণ করেছিলেন।
১৬. মসন্দ কী?
উঃ- মসন্দ ছিল গুরু অর্জুন প্রবর্তিত একটি ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থায় প্রতি শিখকে তার আয়ের ১/১০ অংশ গুরুকে দান করতে হতো। এই অর্থ সংগ্রহের জন্য গুরু অর্জুন প্রতিনিধি নিযুক্ত করেছিলেন। প্রতিনিধিরা সারা বছরের সংগৃহীত অর্থ বৈশাখীর দিনে অমৃতসরে জমা দিত। শুরু গোবিন্দ এই ব্যবস্থা রদ করেছিলেন।
১৭.অমৃতসর নগরের প্রতিষ্ঠার কাজ কে শুরু করেন? অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উঃ- অমৃতসর নগরের প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন শুরু রামদাস। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন শুরু অর্জুন।
'১৮.গ্রন্থসাহেব' কী?
উঃ নানক সহ পাঁচজন শিখ গুরু এবং কবীর, ফরিদ, নামদেব, রুইদাস প্রমুখ বোলোজন সাধকের বাণী সঙ্কলন করেছিলেন গুরু অর্জুন। এই সঙ্কলন পরিচিত 'গ্রন্থসাহেব' নামে। এই সম্মলনের কাজ শেষ হয়েছিল ১৬৪০ খ্রিস্টাব্দে। পরবর্তীকালে শুরু গোবিন্দ 'গ্রন্থসাহেবকে একমাত্র শিখ ধর্মগ্রন্থ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন।
১৯.অকাল তখত কী?
উঃ- অমৃতসরের লোহাগড় দুর্গের হরি মন্দিরের সামনে ১৬০৯ খ্রিস্টাব্দে গুরু হরগোবিন্দ। তৈরি করেছিলেন অকাল তখত বা ঈশ্বরের সিংহাসন। এই আসনে আসীন হয়ে হরগোবিন্দ বিচারকার্য পরিচালনা ও উপহার গ্রহণ করতেন।
২০.গ্রহ শিখ ধর্মে পাহুল প্রথা কী ?
উঃ- পাহুল ছিল শিখদের দীক্ষা গ্রহণ করার প্রথা যা গুরু গোবিন্দ প্রবর্তন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে ময়দা, চিনি, মাখন দিয়ে প্রস্তুত একটি পানীয় সকলে মিলে পান করত। এর মধ্যে দিয়ে জাতি প্রথার প্রাচীর ভাঙ্গার প্রয়াস করেছিলেন গুরু গোবিন্দ।
২১. পঞ্চপিয়ারে কী ?
উত্তর- গুরু গোবিন্দ শিখদের এক সম্মেলনে পাঁচজন শিখকে বিশেষভাবে নির্বাচিত করেছিলেন। এরা শিখধর্মের মর্যাদা রক্ষার জন্য প্রাণদান করার অঙ্গীকার করেছিলেন। এদের পঞ্চপিয়ারে বলা হয়।
২২. খালসা কী?
উঃ খালসা শব্দের অর্থ পবিত্র বা মুক্ত। ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে বৈশাখীতে গুরু গোবিন্দ খালসা নামে বিশেষ এক ভ্রাতৃসংঘ তৈরি করেছিলেন। তার নির্দেশ অনুসারে যে-শিখরা সামরিক বৃত্তি গ্রহণ করে শিখপস্থের সেবায় জীবন উৎসর্গ করবে তারাই খালসা হিসাবে অভিহিত হবে। এইভাবে শিখদের খালসা অভিধা দানের মাধ্যমে শুরু গোবিন্দ তাদের সামরিক জাতিতে পরিণত করেছিলেন।
২৩.দল খালসা কী ?
উঃ আহমদ শাহ দুরানির লাহোর জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে ১৭৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২৯ মার্চ অমৃতসরে শিখ গোষ্ঠী-নেতাদের সম্মতিতে খালসা যোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ করে কাপুর সিং প্রতিষ্ঠা করেন দল খালসা নামক এক শিথিল সংঘ। সর্দার যশ সিং আলুওয়ালিয়া দল খালসার নেতা নির্বাচিত হন।
২৪.শিখধর্মে 'পঞ্চ ক' কী?
উঃ- শিখদের মধ্যে ঐক্য ও সৌভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় করার জন্য গুরু গোবিন্দ সমস্ত শিখকে 'পঞ্চ কা ধারনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই ‘পঞ্চ ক’ হচ্ছে কাচ্ছা (চাপা পাজামা), কড়া (লোহার বালা), কৃপাণ, কাঙ্গা (চিরণী) ও কেশ (চুল দাড়ি)।
প্রঃ কোন শুরু সমস্ত শিখদের সিংহ পদবী গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন?
উঃ গুরু গোবিন্দ সমস্ত শিখদের সিংহ বা সিং পদবী গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

No comments:
Post a Comment