শাহজাহান, ঔরঙ্গজেব এর সময়কাল থেকে প্রশ্ন উত্তর - Fresh Gk Bangla

Breaking

Wednesday, August 31, 2022

শাহজাহান, ঔরঙ্গজেব এর সময়কাল থেকে প্রশ্ন উত্তর

Period of Shahjahan,Aurangzeb।শাহজাহান, ঔরঙ্গজেব এর সময়কাল। History G.k। History G.k questions Answer in Bengali। All competitive exams questions Answer।



১. শাহজাহানের পিতৃদত্ত নাম কী? শাহজাহানের মায়ের নাম কী?

উঃ- শাহজাহানের পিতৃদত্ত নাম খুররম। শাহজাহানের মায়ের নাম জগৎ গোঁসাই বা যোধাবাঈ যিনি ছিলেন মের্তার রাজা উদয় সিংহের কন্যা।


২.  সিংহাসন অধিকারের জন্য শাহজাহান কোন দুই ভাইকে হত্যা করেছিলেন? 

উঃ- সিংহাসন অধিকারের জন্য শাহজাহান তার দুই ভাই খসরু ও পারভেজকে হত্যা করেছিলেন।


৩. জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর আসফ খান কাকে বাদশাহ হিসাবে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন এবং কেন? অন্যদিকে কে লাহোরে নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন? 

উঃ - জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর সময়ে শাহজাহান ছিলেন দাক্ষিণাত্যে। যতদিন না শাহজাহান দিল্লিতে প্রবেশ করে সিংহাসন অধিকার করছেন তার দিনা সিংহাসন ফাকা না রেখে আসফ খান। মধ্যবর্তী ব্যবস্থা হিসাবে জাহাঙ্গীরের মৃত পুত্র খসরুর পুত্র দাওয়ার বক্সকে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর নূরজাহানের সমর্থনে নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেছিলেনশাহরিয়ার।


৪. শাহজাহান কত খ্রিস্টাব্দে মুঘল সিংহাসনে আরোহণ করেন?

উঃ- শাহজাহান ১৬২৮ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সিংহাসনে আরোহণ করেন।


৫. শাহজাহান কোন বুন্দেলা রাজাকে পরাজিত করেন?

উঃ- বুন্দেলা রাজা ঝুঝর সিংহকে শাহাজাহান পরাজিত করেন (১৬২৯ খ্রিস্টাব্দে)।


৬. দাক্ষিণাত্যের কোন অভিজাত শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন? 

উঃ দাক্ষিণাত্যের শাসনকর্তা খান-ই-জাহান লোদী শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। 


৭. কোন বিদেশি জাতির বিরুদ্ধে শাহজাহান সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন?

উঃ- বিদেশি জাতি পর্তুগীজদের বিরুদ্ধে শাহজাহান সামরিক অভিযান প্রেরণ করেন।


 ৮. শাহজাহান বাংলাদেশের কোন পর্তুগীজ কেন্দ্র অধিকার করেন?

উঃ- শাহজাহান বাংলাদেশের পর্তুগীজ কেন্দ্র হুগলি অধিকার করেন (১৬৩২ খ্রিস্টাব্দ)।



৯. শাহজাহান মধ্য এশিয়ার কোন দুই অঞ্চল অধিকার করতে চেয়েছিলেন? শাহজাহান কেন মধ্য এশিয়া জয় করতে চেয়েছিলেন ? 

উঃ -শাহজাহান মধ্য এশিয়ার বলখ ও বাদকশান জয় করতে চেয়েছিলেন।পূর্ব পুরুষদের কর্মভূমি সমরখন্দকে কর্তৃত্বাধীন করার জন্য শাহজাহান মধ্য এশিয়া জয় করতে চেয়েছিলেন।

 

১০. শাহজাহান উত্তর-পশ্চিমে পারসিকদের কাছ থেকে কোন স্থান জন্ম করেন ? পরবর্তীতে এই স্থান কোন শক্তির কর্তৃত্বাধীন হয়?

উঃ শাহজাহান উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পারসিকদের কাছ থেকে কান্দাহার অধিকার করেছিলেন।(১৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ)।

পরবর্তীতে এই স্থান পারস্যরাজের কর্তৃত্বাধীন হয় (১৬৪৯ খ্রিস্টাব্দ)।


 প্রঃ প্রথম কোন দক্ষিণের রাজ্য শাহজাহান অধিকার করেন?

উঃ- শাহজাহান কর্তৃক অধিকৃত প্রথম দক্ষিণের রাজ্য আহমদনগর (১৬৩৩ খ্রিস্টাব্দ)।


১১. গোলকুণ্ডার কোন সুলতান শাহজাহানের বশ্যতা স্বীকার করেন? বিজাপুরের কোন সুলতান শাহজাহানের বশ্যতা স্বীকার করেন ? 

উঃ গোলকুণ্ডার সুলতান কুতুব শাহ শাহজাহানের বশ্যতা স্বীকার করেন (১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দ)।বিজাপুরের সুলতান আদিল শাহ শাহজাহানের বশ্যতা স্বীকার করেন (১৬৩৬ খ্রিস্টাব্দ)।


 ১২. কোন কোন ইতালীয় এবং ইংরাজ পর্যটক শাহজাহানের সাম্রাজ্যে এসেছিলেন?

উঃ- ইতালীয় পর্যটক মানুচি শাহজাহানের সাম্রাজ্যে এসেছিলেন। ইংরাজ পর্যটক পিটার মাণ্ডি শাহজাহানের সাম্রাজ্যে এসেছিলেন।


 ১৩. কোন দুই ফরাসি পর্যটক শাহজাহানের সাম্রাজ্যে এসেছিলেন ?

উঃ শাহজাহানের সাম্রাজ্যে এসেছিলেন ফরাসি পর্যটক বার্নিয়ে এবং তেভারনিয়ার।


১৪. আকবর কর্তৃক রদ হওয়া কোন কর শাহজাহান পুনঃপ্রবর্তন করেন? 

উঃ আকবর কর্তৃক রদ হওয়া অমুসলমানদের দেয় তীর্থকর শাহজাহান পুনঃপ্রবর্তন করেন।


১৫. শাহজাহান দরবারে কোন দুই প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন?


উঃ শাহজাহান দরবারে সিজদা (সম্রাটের সামনে আনত হওয়া) ও জমিনবস (সম্রাটের সামনে মাটি চুম্বন করা) প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন।


 ১৬.মুমতাজ মহল কে?

উঃ মুমতাজ মহল ছিলেন শাহজাহানের সর্বাপেক্ষা প্রিয় পত্নী। তার পূর্ব নাম আর্জুমনদ বানো বেগম। জাহাঙ্গীরের সময়ে সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাশালী অভিজাত আসফ খানের কন্যা ছিলেন তিনি। ১৬১২ খ্রিস্টাব্দে তার সঙ্গে শাহজাহানের বিবাহ হয়েছিল। তাদের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। তেরোটি সন্তানের জননী এই মহিলা ১৬৩১ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে মারা যান। মুমতাজের মৃত্যুতে শাহজাহান প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন এবং তার প্রতি নিজের ভালবাসার প্রতীক হিসাবে নির্মাণ করেছিলেন স্মৃতি সৌধ তাজমহল। 


১৭. শাহজাহানের চার পুত্রের নাম কী ? শাহজাহানের কন্যাদের নাম কী?

উঃ- শাহজাহানের চার পুত্রের নাম যথাক্রমে দারাশুকো, সুজা, ঔরঙ্গজেব ও মুরাদ বখস। শাহজাহানের কন্যাদের নাম রোশেনারা ও জাহানারা।


১৮. উত্তরাধিকার যুদ্ধের সূচনার সময় শাহজাহানের পুত্ররা কোন কোন স্থানের শাসনকর্তা ছিলেন?

উঃ- উত্তরাধিকার যুদ্ধের সূচনার সময় (১৬২৭ খ্রিস্টাব্দে) দারা ছিলেন পাঞ্জাব ও দিল্লির শাসনকর্তা, সুজা বাংলাদেশের, ঔরঙ্গজেব দক্ষিণ ভারতের এবং মুরাদ গুজরাটের।


১৯. ধর্মাটের যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয় ? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হয় ?

উঃ- ধর্মাটের যুদ্ধ (এপ্রিল ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ) সংঘটিত হয়েছিল ঔরঙ্গজেব ও মুরাদের সঙ্গে দারার সেনাপতি যশবন্ত সিংহের। এই যুদ্ধে যশবন্ত সিংহ বা দারার পক্ষ পরাজিত হয়।


২০. সামুগড়ের যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হন?

উঃ- সামুগড়ের যুদ্ধ সংঘটিত হয় দারা এবং ঔরঙ্গজেব ও মুরাদের মধ্যে (১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে)।এই যুদ্ধে দারা পরাজিত হন।


 ২১. ঔরঙ্গজেব তার ভাই মুরাদকে কোন দুর্গে বন্দী করে রাখেন?

উঃ- ঔরঙ্গজেব তার ভাই মুরাদকে প্রথমে দিল্লি ও পরে গোয়ালিয়র দুর্গে বন্দী করে রাখেন।


২২.  বাহাদুরপুরের যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হন?

উঃ- বাহাদুরপুরের যুদ্ধ সংঘটিত হয় শাহ সুজা এবং দারার পুত্র সুলেমান শুকোর মধ্যে(ফেব্রুয়ারি ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ)। এই যুদ্ধে শাহ সুজা পরাজিত হন। প্রঃ ঔরঙ্গজেব কবে নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেন? উঃ ২১ জুলাই ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেন।


২৩. খাজওয়ার যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয় ? এই যুদ্ধে কে পরাজিত হন?

উঃ- খাজওয়ার যুদ্ধ সংঘটিত হয় সুজা এবং ঔরঙ্গজেবের মধ্যে (জানুয়ারি ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দ)। এই যুদ্ধে পরাজিত হন শাহ সুজা।


 ২৪.ঔরঙ্গজেবের কাছে পরাজিত হয়ে সুজা কোন রাজ্যে পলায়ন করেন?

উঃ ঔরঙ্গজেবের কাছে পরাজিত হয়ে সুজা আরাকান রাজ্যে পলায়ন করেন।


২৫. ঔরঙ্গজেব তার কোন দুই ভাইকে হত্যা করেন? তিনি শাহজাহানকে কোন দুর্গে বন্দী করে রাখেন?

উঃ- ঔরঙ্গজেব তার দুই ভাই মুরাদ ও দারাশুকোকে হত্যা করেন।ঔরঙ্গজেব শাহজাহানকে আগ্রা দুর্গে বন্দী করে রাখেন।


২৬. ঔরঙ্গজেব কী উপাধি গ্রহণ করেছিলেন? 

উঃ ঔরঙ্গজেব 'আলমগীর' বা বিশ্বজয়ী উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।


২৭. ঔরঙ্গজেবের কোন সেনাপতি অহোম রাজ্য অধিকার করেন? 

উত্তর- শায়েস্তা খাঁ


 ২৮.ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে কার নেতৃত্বে অহোম রাজ্য পুনরায় স্বাধীন হয়ে পড়ে?

 উঃ- ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি মীরজুমলা অহোম রাজ্য অধিকার করেছিলেন।ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে গদাধর সিংহের নেতৃত্বে অহোম রাজ্য পুনরায় স্বাধীন হয়।


 ২৯.  ঔরঙ্গজেবের কোন সেনাপতি কোচ রাজ্য অধিকার করেন?

উঃ ঔরঙ্গজেবের সেনাপতি শায়েস্তা খাঁ কোচ রাজ্য অধিকার করেন (১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দ)। 


৩০. কাদের পরাজিত করে চট্টগ্রামকে মুঘল কর্তৃত্বাধীন করা হয়? ঔরঙ্গজেব চট্টগ্রামের কী নামকরণ করেছিলেন?

উঃ- আরাকান ও মগদের পরাজিত করে চট্টগ্রামকে মুঘল কর্তৃত্বাধীন করা হয়। ঔরঙ্গজেব চট্টগ্রামের নামকরণ করেছিলেন ইসলামাবাদ।


৩১. ঔরঙ্গজেব কোন রাজপুত রাজ্য নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিলেন?

উঃ- ঔরঙ্গজেব মারোয়াড় বা যোধপুর রাজ্য নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিলেন (১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দ)।


৩২. ঔরঙ্গজেব কাকে যোধপুরের রাজা নিযুক্ত করেছিলেন? কার নেতৃত্বে যোধপুর মুঘল শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল?

উঃ- ঔরঙ্গজেব ইদুর সিংকে যোধপুরের রাজা নিযুক্ত করেছিলেন। দুর্গাদামের নেতৃত্বে যোধপুর মুঘল শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।


৩৩. দুর্গাদাস কে?

উঃঃ- ১৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব যোধপুর বা মারোয়াড় নিজ সারাজাত করালে দুর্গাদাস পূর্বতন রাজার নাবালক পুত্র অজিত সিংহকে রাণা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দীর্ঘকাল মুঘলদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম চালান। মূলত তার অনমনীয় মনোভাব ও দৃঢ়তার কারণেই মুঘল শক্তি ১৭০৯ খ্রিস্টাব্দে অজিত সিংহকে মারোয়াড়ের রাজা হিসাবে স্বীকার করে নেয়া।


৩৪. কাকে পরাজিত করে ঔরঙ্গজেব চিতোর দুর্গ অধিকার করেন?

 উঃ রাণা রাজসিংহকে পরাজিত করে ঔরঙ্গজেব চিতোর দুর্গ দখল করেন (১৬৮৯ খ্রিস্টাব্দ)।


৩৫. ঔরঙ্গজেব মেবারের রাণা হিসাবে কাকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন?

 উঃ- ঔরঙ্গজেব মেবারের রাণা হিসাবে জয়সিংহকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন (১৬৮১ খ্রিস্টাব্দ)। 

৩৬. কাদের পরাজিত করে সন্দীপ দ্বীপ ঔরঙ্গজেব সাম্রাজ্যভুক্ত করা হয়?

উঃ- পর্তুগীজ জলদস্যুদের পরাজিত করে সন্দীপ দ্বীপ ঔরঙ্গজেবের সাম্রাজ্যভুক্ত করা হয়।(১৬৬৫ খ্রিস্টাব্দ)।


 ৩৭. কার নেতৃত্ব বুন্দেলারা ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল?

উঃ- ছত্রশালের নেতৃত্বে বুন্দেলারা ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। 


৩৮. ঔরঙ্গজেব কত বছর দাক্ষিণাত্যে অতিবাহিত করেছিলেন? 

উঃ ঔরঙ্গজেব পঁচিশ বছর (১৬৮২-১৭০৭ খ্রিস্টাব্দ) দাক্ষিণাত্যে অতিবাহিত করেছিলেন।


৩৯. ঔরঙ্গজেব দক্ষিণের কোন দুই শিয়া রাজ্য অধিকার করেন?

উঃ- ঔরঙ্গজেব দক্ষিণের দুই শিয়া রাজ্য বিজাপুর ও গোলকুন্ডা অধিকার করেছিলেন।


৪০. কাকে পরাজিত করে এবং কত খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব বিজাপুর অধিকার করেন? 

উঃ- আদিলশাহী বংশের সিকন্দর শাহকে ১৬৮৬ খ্রিস্টাব্দে পরাজিত করে ঔরঙ্গজেব বিজাপুর রাজ্য অধিকার করেছিলেন।


৪১. কাকে পরাজিত করে এবং কত খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেব গোলকুন্ডা অধিকার করেন?

উঃ কুতুবশাহী বংশের আবুল হাসানকে ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে পরাজিত করে ঔরঙ্গজেব গোলকুন্ডা রাজ্য অধিকার করেছিলেন।


৪২. উরঙ্গজেব দৌলতাবাদ দুর্গে কোন দুই পরাজিত রাজাকে বন্দী করে রেখেছিলেন? 

উঃ- পরাজিত বিজাপুররাজ সিকন্দর শাহ ও গোলকুন্ডারাজ আবুল হাসানকে ঔরঙ্গজেব দৌলতাবাদ দুর্গে বন্দী করে রেখেছিলেন।


৪৩. ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে কোন দুই কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল? 

উঃ ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে জাঠ ও সৎনামী কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল।


৪৪. ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে দিল্লি ও মথুরা অঞ্চলে কী বিদ্রোহ দেখা দিয়েছিল ?

 উঃ- তিলপতের জমিদার গোকলা জাঠের নেতৃত্বে ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি ও মথুরা অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছিল জাঠ বিদ্রোহ। এরা পরে ভরতপুরে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল।


 ৪৫. সৎ নামি বিদ্রোহ কত খ্রিস্টাব্দে এবং কার নেতৃত্বে সংঘটিত হয়েছিল?

উঃ- ১৬৭২ খ্রিস্টব্দে দিল্লির নিকটবর্তী স্থানে গরীব দাস হাড়ার নেতৃত্বে সংনামী বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল।



৪৬. কার নেতৃত্বে ইউসুফজাই উপজাতি ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল?

উঃ- ভাগুর নেতৃত্বে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের ইউসুফজাই উপজাতি ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল (১৬৬৭ খ্রিস্টাব্দ)।


৪৭.  কার নেতৃত্বে আফ্রিদি উপজাতি ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল? 

উঃ আকমল খানের নেতৃত্বে আফ্রিদি উপজাতি ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।(১৬৭২ খ্রিস্টাব্দ)।


৪৮. দাক্ষিণাত্য ক্ষত কী ?

উঃ- শিবাজীর নেতৃত্বাধীন মারাঠা কর্তৃত্বের অবসান ও মারাঠা অঞ্চলকে নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করার জন্য ঔরঙ্গজেব দুই দশকের বেশি সময় ব্যয় করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতে ঔরঙ্গজেবের এই ব্যর্থতাকে দাক্ষিণাত্য ক্ষত হিসাবে অভিহিত করা হয়।


৪৯. ঔরঙ্গজেব কোথায় ও কবে মারা যান ?

উঃ ঔরঙ্গজেব ৩ মার্চ ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে আহমদনগরে মারা যান।


 ৫০. ঔরঙ্গজেবের কোন পুত্র নিজেকে সম্রাট বলে ঘোষণা করেছিল?

উঃ ঔরঙ্গজেবের পুত্র আকবর নিজেকে সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেছিল (১৬৮১ খ্রিস্টাব্দ)।


৫১. শায়েস্তা খান কে?

উঃ- শায়েস্তা খান ছিলেন ঔরঙ্গজেবের মামা। শিবাজীকে দমন করার বিশেষ দায়িত্বসহ তাকে দাক্ষিণাত্যের সুবাদার নিযুক্ত করা হয়েছিল (১৬৬০ খ্রিস্টাব্দ)। প্রাথমিকভাবে এই ক্ষেত্রে তিনি সফলতা লাভ করলেও শিবাজী হঠাৎ পুণা দুর্গ আক্রমণ করলে তিনি অতিকষ্টে নিজের প্রাণরক্ষা করেন। পরবর্তীতে তিনি প্রায় ত্রিশ বছর অত্যন্ত যোগ্যতার সঙ্গে বাংলা প্রদেশের শাসনকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন।


৫২. মীরজুমলা কে?

উঃ পারস্য থেকে আগত মীরজুমলা মীর মহম্মদ সৈয়দ আরদিস্তানী গোলকুন্ডাতে হীরা ব্যবসায়ী হিসাবে জীবন শুরু করলেও কূটনৈতিক ও সামরিক দক্ষতার কারণে আব্দুল কুতুব শাহর প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তিনি মুঘল পক্ষে যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরাধিকার যুদ্ধে মীরজুমলা ঔরঙ্গজেবের সঙ্গে ছিলেন। পরে তিনি বাংলার সিপাহসালার নিযুক্ত হন এবং আসাম অধিকার করেন(১৬৬২ খ্রিস্টাব্দ)। পরের বছর তিনি মারা যান। '


৫৩. জিন্দাপীর' নামে কে পরিচিত ছিলেন ?

উঃ- অনেক প্রজাদের কাছে সম্রাট ঔরঙ্গজেবে পরিচিত ছিলেন 'জিন্দাপীর' নামে।


 ৫৪. ঔরঙ্গজেব কোন কর পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন ?

উঃ ঔরঙ্গজেব জিজিয়া কর পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন। 


৫৫. ঔরঙ্গজেব কর্তৃক বাতিল হওয়া রাহাদারি ও পাণ্ডারি কর দুইটি কী?

উঃ- ঔরঙ্গজেব কর্তৃক বাতিল হওয়া রাহাদারি ছিল অভ্যন্তরীণ শুল্ক যা রাজ্যের নানা স্থানে আদায় করা হতো। অন্যদিকে দিল্লি, আগ্রা, লাহোর প্রভৃতি বড় শহরে বিক্রির জন্য আনা দ্রব্যের উপর আদায় করা হতো পান্ডারি বা পিন্ডারি কর।


৫৬. কোন ফরাসি চিকিৎসক ঔরংজেবের রাজত্বকালে ভারতে আসেন ?

উঃ- ফরাসি চিকিৎসক ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ে ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকালে ভারতে আসেন।


৫৭. ঔরঙ্গজেবের পর কে সম্রাট হন?

 উঃ- ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর সম্রাট হন প্রথম বাহাদুর শাহ বা মুয়াজ্জম। এ কোন মুঘল সম্রাটকে 'শাহ-ই-বে-খবর' বলা হতো? উঃ প্রথম বাহাদুর শাহকে বলা হতো 'শাহ-ই-বে-খবর”।


৫৮. কত খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহ দিল্লি লুণ্ঠন করেন? তখন মুঘল সম্রাট কে ছিলেন?

উঃ- মার্চ ১৭৩৯ খ্রিস্টাব্দে নাদির শাহ দিল্লি লুণ্ঠন করেন। তখন মুঘল সম্রাট ছিলেন মহম্মদ শাহ।


৫৯. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল দরবারে কোন চারটি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছিল? 

উঃ -ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মুঘল দরবারে নিম্নোক্ত চারটি গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়েছিল— ইরানি, রানি, হিন্দুস্থানী মুসলমান ও ভারতীয় বা হিন্দু।


৬০. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর দরবারে কাদের নেতৃত্বে ইরানি, তুরানি ও হিন্দুস্থানী গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল ?


উত্তর!  ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর দরবারে আসাদ খান ও জুলফিকার খানের নেতৃত্বে ইরানি গোষ্ঠী, চিনকিলিচ খানের নেতৃত্বে তুরানি এবং সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের নেতৃত্বে হিন্দুস্থানী গোষ্ঠী গড়ে উঠেছিল।


৬১. মুঘল দরবারে ইরানি ও তুরানি গোষ্ঠী বলতে কী বোঝ ?

উঃ- শাহজাহানের সময় পর্যন্ত ইরানি ও তুরানি গোষ্ঠী বলতে জাতিকেন্দ্রিক দুইটি গোষ্ঠীকে বোঝাত। কিন্তু ঔরঙ্গজেবের সময়ে এই ধারণার পরিবর্তন হয়— গোষ্ঠীর নেতার জাতিকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী পরিচিত হলেও গোষ্ঠীর সকলে উক্ত জাতির অভিজাত ছিল না। ইরানি গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন ইরানি অভিজাত আসাদ খান ও জুলফিকার খান। অন্যদিকে তুরানি গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন তুরানি অভিজাত ফিরোজ জগ ও চিনকিলিচ খান। উভয় গোষ্ঠীতেই অন্যান্য জাতি ও ধর্মের অভিজাতরা ছিল। তখন স্বার্থের কারণেই অভিজাতরা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, জাতিগত আনুগত্যের কারণে নয়। 


৬২. সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয় কাদের বলা হতো?

উঃ- মুঘল সম্রাট ফারুকশিয়ারের সময় থেকে প্রকৃত রাজক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেছিলেন। সৈয়দ হুসেন আলি ও সৈয়দ আবদুল্লা খান নামক দুই অভিজাত। এদের সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয় বলা হতো। এরা ফারুকশিয়ারকে হত্যা করে মহম্মদ শাহকে সম্রাট পদে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।


৬৩.  ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর কার নেতৃত্বে হায়দ্রাবাদে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? 

উঃ নিজাম-উল-মূলক চিনকিলিচ খানের নেতৃত্বে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মহম্মদ শাহর সময়ে হায়দ্রাবাদে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।


৬৪. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর বাংলায় কে স্বাধীন নবাবীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উঃ- ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর বাংলায় মুর্শিদকুলি খান স্বাধীন নবাবীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


৬৫. ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর অযোধ্যায় কে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উঃ ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর অযোধ্যার মুঘল সুবাদার সাদাত খান বুরহানমূলক অযোধ্যায় স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।


৬৬. সাদাত খানের মৃত্যুর পর কে অযোধ্যায় সুবাদার হন?

উঃ সাদাত খানের মৃত্যুর পর অযোধ্যায় সুবাদার হন সফদর জঙ্গ।







No comments:

Post a Comment