ভারতীয় ইতিহাসের আদিম মানুষ ষষ্ট শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়| class 6 history 2nd chapter|
- ভারতীয় উপমহাদেশে কোথায় সবথেকে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. কাশ্মীরের সোয়ান উপত্যকায় সবথেকে পুরোনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে।
- আদিম মানুষের জীবনে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল_______ (a) ধাতু (b) চাকা (c) আগুন (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. আগুন
- খোলা আকাশের নীচে. কখনও বা গুহায় থাকতে শেখে_______পাথরের যুগের মানুষ। (a) পুরোনো (b) মাঝের (c) নতুন (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. পুরোনো
- কোন্ প্রাণী নিজের হাতের বুড়ো আঙুলকে কোনো কিছু ধরার কাজে ব্যবহার করতে পারে? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. মানুষ নিজের হাতের বুড়ো আঙুলকে কোনো কিছু ধরার কাজে ব্যবহার করতে পারে।
- উত্তরপ্রদেশের সরাই নহর রাইতে উঁতার মতো যন্ত্র পাওয়া গেছে। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- হোমো স্যাপিয়েন্স (বুদ্ধিমান মানুষ) কত বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. আনুমানিক ২ লক্ষ ৩০ হাজার বছর আগে হোমো স্যাপিয়েন্স পৃথিবীতে এসেছিল
- _______ছুরি ছিল একটি প্রধান হাতিয়ার। (a) মাঝের পাথরের যুগে (b) মধ্য পুরোনো পাথরের যুগে (c) অন্ত পুরোনো পাথরের যুগে (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. মধ্য পুরোনো পাথরের যুগে
- আদিম মানুষের জীবনে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল_______ (a) ধাতু (b) চাকা (c) আগুন (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. আগুন
- কত বছর আগে হুন্সগি উপত্যকায় মাটি খুঁড়ে পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ বছর আগে মুন্সগি উপত্যকায় মাটি খুঁড়ে পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে।
- _______ মাটি খুঁড়ে মুন্সগি উপত্যকায় পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার পাওয়া গেছে। (a) ১৭৮৩ (b) ১৮৮৫ (c) ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. 1983
- হাদার কী? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়ায় একটি জায়গার নাম হল হাদার।
- মানবসংস্কৃতি থেকে সভ্যতা আলাদা। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- _______ শিবালিক পার্বত্য অঞ্চলে পুরোনো পাথরের হাতিয়ার মিলেছে। (a) হিমাচল প্রদেশের (b) উত্তরপ্রদেশের (c) মধ্যপ্রদেশের (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. হিমাচল প্রদেশের
- ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে হুন্সগি উপত্যকায় মাটি খুঁড়ে পাওয়া কয়েকটি হাতিয়ারের নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দে হুন্সগি উপত্যকায় মাটি খুঁড়ে পাওয়া কয়েকটি হাতিয়ারের নাম হল কুড়ল, ছোরা, চাঁছুনি প্রভৃতি।
- কোথায় কোথায় খুব পুরোনো মানুষের কঙ্কাল ও হাড়গোড় পাওয়া যায়? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. আফ্রিকা, চিন ও জাভায় খুব পুরোনো মানুষের কঙ্কাল ও হাড়গোড় পাওয়া যায়।
- নর্মদা উপত্যকায় ________৮ হাজার বছর পুরোনো বন্যপশুর হাড় মিলেছে। (a) আজমগড়ে (b) মেহেরগড়ে (c) আদমগড়ে (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. আদমগড়ে
- বাগোড়েতে আদিম মানুষের বসতি ছিল। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ কী? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. হোমো স্যাপিয়েন্স কথার অর্থ হল বুদ্ধিমান মানুষ।
- আদিম মানুষ প্রথমে কী খেত? (এক কথায় উত্তর দাও)
Ans. আদিম মানুষ প্রথমে কাঁচা মাংস ও ফলমূল খেত৷
- পুরোনো পাথরের যুগের হাতিয়ার ছিল বড়ো, ভারী এবং অমসৃণ। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)
Ans. সত্য
- গুহা থেকে বেরিয়ে ছোটো ছোটো বসতি বানানো শুরু করে_______পাথরের যুগের মানুষ। (a) পুরোনো (b) মাঝের (c) নতুন (শূন্যস্থান পূরন করো)
Ans. মাঝের
১। সঠিক শব্দটি বেছে নিয়ে শূন্যস্থান পূরণ কর:
১.১) আদিম মানুষ প্রথমে – (রান্না করা খাবার/পোড়া মাংস/কাঁচা মাংস ও ফলমূল) খেত।
উত্তর: কাঁচা মাংস ও ফলমূল।
১.২) আদিম মানুষের প্রথম হাতিয়ার ছিল – (ভোঁতা পাথর/হালকা ছুঁচলো পাথর/ পাথরের কুঠার)।
উত্তর: ভোঁতা পাথর।
১.৩) আদিম মানুষের জীবনে প্রথম জরুরি আবিষ্কার (ধাতু/চাকা/আগুন)।
উত্তর: আগুন।
২। ক–স্তম্ভের সঙ্গে খ–স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো:
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
---|---|
কৃষিকাজ | নতুন পাথরের যুগ |
পশুপালন | মাঝের পাথরের যুগ |
ভীমবেটকা | মধ্যপ্রদেশ |
হুন্সগী | কর্ণাটক |
৩। নিজের ভাষায় ভেবে লেখ (তিন/চার লাইন):
৩.১) আদিম মানুষ যাযাবর ছিল কেন?
উত্তর: আদিম মানুষের প্রধান জীবিকা ছিল পশু শিকার ও খাদ্য সংগ্রহ। পশু শিকার ও খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য তাদের এক জায়গা থেকে অপর জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াতে হতো। সেকারণেই আদিম মানুষ যাযাবর ছিল।
৩.২) আগুনে জ্বালাতে শেখার পর আদিম মানুষের কি কি সুবিধা হয়েছিল?
উত্তর: তারা মাংস পুড়িয়ে খাওয়া শুরু করলো। শীতের হাত থেকে বাঁচলো। জন্তুজানোয়ারের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেত।
৩.৩) আদিম মানুষ কেন জোট বেঁধেছিল? এর ফলে তার কি লাভ হয়েছিল?
উত্তর: আদিম মানুষ যখন জোট বাঁধলো তারা একসাথে পশু শিকার করতে যেত। জমিতে একসঙ্গে করা কৃষিকাজ করলো। গুহা ছেড়ে সমাজজীবন গড়ে তুলল।
ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
১. এপ কি?
উত্তর: আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব অংশে ঘন জঙ্গলে এক ধরনের বড় বানর ছিল। তাদের লেজ ছিল না। এদের এপ (Ape) বলা হয়।
২. নানারকম আদিম মানুষের ভাগ আলোচনা কর।
উত্তর:
i) অস্ট্রালোপিথেকাস: এপ থেকে মানুষ
এরা ছিল আনুমানিক ৪০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে।
এরা দুপায়ে ভর দিয়ে কোনক্রমে দাঁড়াতে পারতো।
শক্ত বাদাম, শুকনো ফল চিবিয়ে খেতো। চোয়ালে ছিল শক্ত ও সুগঠিত।
এরা গাছের ডাল দিয়ে ধাক্কা মারতো, পাথর ছুঁড়তে চেষ্টা করত।
ii) হোমো হাবিলিস: দক্ষ মানুষ
এরা ছিল আনুমানিক ২৬ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে।
এরা দলবদ্ধভাবে থাকতো। হাঁটতে পারতো।
পাশাপাশি এরা সম্ভবত কাঁচা মাংস খেত।
এরাই প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে একটা পাথর দিয়ে আরেকটা পাথরকে জোরে আঘাত করে পাথরের অস্ত্র বানাত।
iii) হোমো ইরেকটাস: সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারা মানুষ
এরা ছিল আনুমানিক ২০ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে।
এরা দু'পায়ে ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়াতো। দলবদ্ধভাবে গুহায় থাকতো।
এরা শিকার করতে পারতো। এরাই প্রথমে আগুনের ব্যবহার শিখেছিল।
এরা বানিয়েছিল স্তর কাটা নুড়ি পাথরের হাতিয়ার। শেষ দিকে বানিয়েছিল হাতকুঠার।
ভারতীয় উপমহাদেশে আদিম মানুষ অতিরিক্ত প্রশ্নোত্তর
১. এপ কি?
উত্তর: আফ্রিকা মহাদেশের পূর্ব অংশে ঘন জঙ্গলে এক ধরনের বড় বানর ছিল। তাদের লেজ ছিল না। এদের এপ (Ape) বলা হয়।
২. নানারকম আদিম মানুষের ভাগ আলোচনা কর।
উত্তর:
i) অস্ট্রালোপিথেকাস: এপ থেকে মানুষ
এরা ছিল আনুমানিক ৪০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ বছর আগে।
এরা দুপায়ে ভর দিয়ে কোনক্রমে দাঁড়াতে পারতো।
শক্ত বাদাম, শুকনো ফল চিবিয়ে খেতো। চোয়ালে ছিল শক্ত ও সুগঠিত।
এরা গাছের ডাল দিয়ে ধাক্কা মারতো, পাথর ছুঁড়তে চেষ্টা করত।
ii) হোমো হাবিলিস: দক্ষ মানুষ
এরা ছিল আনুমানিক ২৬ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ বছর আগে।
এরা দলবদ্ধভাবে থাকতো। হাঁটতে পারতো।
পাশাপাশি এরা সম্ভবত কাঁচা মাংস খেত।
এরাই প্রথম পাথরকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে একটা পাথর দিয়ে আরেকটা পাথরকে জোরে আঘাত করে পাথরের অস্ত্র বানাত।
iii) হোমো ইরেকটাস: সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারা মানুষ
এরা ছিল আনুমানিক ২০ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার বছর আগে।
এরা দু'পায়ে ভর করে সোজা হয়ে দাঁড়াতো। দলবদ্ধভাবে গুহায় থাকতো।
এরা শিকার করতে পারতো। এরাই প্রথমে আগুনের ব্যবহার শিখেছিল।
এরা বানিয়েছিল স্তর কাটা নুড়ি পাথরের হাতিয়ার। শেষ দিকে বানিয়েছিল হাতকুঠার।
৪. টীকা লেখ: লুসি।
উত্তর: আফ্রিকা মহাদেশের ইথিওপিয়ায় ফাদার নামে একটা জায়গা আছে। সেখানে ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রালোপিথেকাসের কঙ্কালের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। কঙ্কালটি প্রায় ৩২ লক্ষ বছর আগের একটি ছোট মেয়ের। কঙ্কাল টির নাম দেওয়া হয়েছিল লুসি। লুসির মস্তিষ্ক অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় বেশ বড় ছিল।
৫. কোথায় কোথায় খুব পুরনো মানুষের কঙ্কাল ও হাড়গোড়ের খোঁজ পাওয়া যায়?
উত্তর: আফ্রিকা, চীন ও জাভায় খুব পুরনো মানুষের কঙ্কাল ও হাড়গোড়ের খোঁজ পাওয়া যায়।
৬. ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম পাথরের অস্ত্র কোথায় পাওয়া গেছে?
উত্তর: ভারতীয় উপমহাদেশের সবথেকে পুরনো পাথরের অস্ত্র পাওয়া গেছে কাশ্মীরের সোয়ান উপত্যকায়।
৭. পুরনো পাথরের যুগে কেমন ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হতো?
উত্তর: পুরনো পাথরের যুগে হাতিয়ারগুলির বেশির ভাগই হাত কুঠার ও চপার জাতীয়। হাতিয়ারগুলি বেশিরভাগ ছিল ভারী নুড়ি পাথরের তৈরি।
৮. পুরনো পাথরের যুগে মানুষের জীবন কেমন ছিল?
উত্তর: পুরনো পাথরের যুগে আদিম মানুষের জীবন ছিল বেশ কঠিন ও কষ্টের। তারা দলবেঁধে পশু শিকার করত। মিলেমিশে খাবার ভাগ করে খেত। প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে বাঁচতে পশুর চামড়া, গাছের ছাল পড়তো।
৯. ভারতীয় উপমহাদেশের পুরনো প্রস্তর যুগের গুহা–বসতি কোনগুলি?
উত্তর: উত্তর–পশ্চিম পাকিস্তানের সাংঘাও, কর্ণাটকের কূর্নুল ও মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকা
১০. টীকা লেখ: ভীমবেটকা।
উত্তর: মধ্যপ্রদেশের ভূপাল থেকে কিছুটা দূরে, বিন্ধ পর্বত এর গা ঘেঁষে নির্জন জঙ্গল। সেখানে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে, ভীমবেটকা বেশ কিছু গুহার খোঁজ পাওয়া যায়। গুহার দেওয়ালে তাদের আঁকা ছবি পাওয়া গেছে। প্রায় সবই শিকারের দৃশ্য। নানারকম বন্য পশু পাখির ছবি রয়েছে। এছাড়া দেখা যায় মানুষ একা অথবা দল বেঁধে শিকার করছে। অনেক সময় মানুষের সঙ্গে কুকুরকে দেখা যায়। ছবিগুলিতে সবুজ ও হলুদ রঙের ব্যবহার হলেও বেশি দেখা যায় সাদা এবং লাল রঙ।
১১. উপমহাদেশের মাঝের পাথরের যুগে কেমন ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার হতো?
উত্তর: উপমহাদেশের মাঝের পাথরের যুগে হাতিয়ারগুলি উন্নত হতে থাকে। হাতিয়ারগুলি অনেক বেশি ধারালো ও ছোট হয়ে যায়। ছোট হাতিয়ারগুলি গাছের ডালের সঙ্গে জুড়ে বা গেঁথে নেওয়া হতো। প্রধানত ছুরির ব্যবহার বেশি লক্ষ্য করা যায়।
১২. উপমহাদেশের মাঝের পাথরের যুগে মানুষের জীবনযাত্রা কেমন ছিল?
উত্তর: উপমহাদেশে মাঝের পাথরের যুগে মানুষ পাথরের ধারালো ও ছোট হাতিয়ার করা হতো। পশু শিকার করতো।। আগুনে পশুর মাংস ঝলসিয়ে খেতো। শস্য দানা গুড়ো করতে জাঁতার মত যন্ত্র ব্যবহার করত। তাদের কঙ্কালগুলি থেকে জানা যায় কম বয়সেই মানুষগুলি মারা গিয়েছিল।
১৩. উপমহাদেশের নতুন পাথরের যুগে মানুষের জীবনযাত্রার পরিচয় দাও।
উত্তর: নতুন পাথরের যুগে মানুষ উন্নতমানের হাতিয়ার তৈরি করা শিখেছিল। প্রথম আদিম মানুষ কৃষিকাজ শেখে নিজের খাদ্য উৎপাদন শুরু করে। দল বেঁধে শিকার করতে যায়। মেয়েরা বাচ্চাদের দেখাশোনা করত, ফলমূল জোগাড় করতো। পশুপালন সহজ হয়। সমাজে ভেদাভেদ বিশেষ ছিল না। উন্নত সমাজব্যবস্থা দেখা দেয়।
No comments:
Post a Comment