ইতিহাসের ধারণা ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস প্রথম অধ্যায়| class 6 1st chapter|
১. ইতিহাস কি?
উত্তর: যে বই থেকে আমরা অতীতের কথা জানতে পারি, তাকে ইতিহাস বলে।
২. নদীমাতৃক সভ্যতা বলতে কী বোঝো?
উত্তর: প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ নদীর ধারে থাকতে শুরু করেছিল। নদীকে কেন্দ্র করেই তাদের দৈনন্দিন কাজ চলতো। পুরনো দিনের অনেক সভ্যতা নদীর উপর নির্ভর করেই তৈরি হয়েছিল। সেইসব সভ্যতার কাছে নদী ছিল মায়ের মত। তাই সেগুলিকে নদীমাতৃক সভ্যতা বলা হয়।
৩. ভারতীয় উপমহাদেশকে একসময় ভারতবর্ষ বলা হত।
৪. ভারতবর্ষকে উত্তর দক্ষিণ অংশে ভাগ করেছে কোন পর্বত?
উত্তর: ভারতবর্ষকে উত্তর দক্ষিণ অংশে ভাগ করেছে বিন্ধ্য পর্বত।
৫. আর্যাবর্ত ও দাক্ষিণাত্য বলতে কী বোঝো?
উত্তর: ভারতবর্ষকে উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ভাগ করেছে বিন্ধ্য পর্বত। উত্তর অংশে মূলত আর্যরা বাস করত বলে একে বলা হত আর্যাবর্ত৷ পর্বতের দক্ষিণ দিকে আর্যদের বিশেষ কোনো প্রভাব ছিল না, এই দক্ষিণভাগকে বলা হত দাক্ষিণাত্য৷
৬. কাবেরী নদীর দক্ষিণ অংশকে কি বলা হত?
উত্তর: কাবেরী নদীর দক্ষিণ অংশকে দ্রাবিড় দেশ বলা হত।
৭. তুষার শব্দের অর্থ বরফ৷
৮. কোন যুগ কে ধাতুর যুগ বলা হয়?
উত্তর: যে যুগে মানুষ তামা, লোহা , ব্রোঞ্জ এসব ধাতুর ব্যবহার শিখেছিল, সেই যুগ কে বলা হত ধাতুর যুগ।
৯. প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ কাকে বলে?
উত্তর: প্রাক কথার অর্থ হল আগের। অনেক বছর আগে মানুষ লিখতে পারতো না। সেই সময়ের কথা আমাদের অনুমান করে নিতে হয়। এই সময়কে প্রাক-ঐতিহাসিক যুগ বলা হয়।
১০. ঐগিহাসিক যুগ কাকে বলে?
উত্তর: যে যুগের লিখিত উপাদান পাওয়া যায় ও পড়া যায় সেই সময়কালকে ঐতিহাসিক বলে।
১১. শ্রেষ্ঠ কুষাণ সম্রাট কে ছিলেন?
উত্তর: কনিষ্ক ছিলেন কুষাণ সম্রাটদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
১২. কনিষ্কাব্দ/শকাব্দ কি?
উত্তর: কনিষ্ক সিংহাসনে বসার পর এক নতুন অব্দ গোনা চালু করেন। সেই অব্দ গনাকে কনিষ্কাব্দ বলে। কনিষ্কাব্দ–এর আর এক নাম শকাব্দ।
১৩. গুপ্তাব্দ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: গুপ্ত সম্রাট প্রথম চন্দ্রগুপ্ত একটা অব্দ গণনা চালু করেন, তাকে গুপ্তাব্দ বলা হয়।
১৪. হর্ষাব্দ চালু করেন হর্ষবর্ধন।
১৫. খ্রিস্টাব্দ কথাটি ব্যবহার করা হয় কবে থেকে?
উত্তর: খ্রিস্টাব্দ কথাটি ব্যবহার করা হয় জিশুখ্রিস্টের জম্মের পর থেকে।
১৬. জাদুঘর কাকে বলে?
উত্তর: মাটির নিচে থেকে পাওয়া পুরোনো ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, মুদ্রা, গয়না, অস্ত্র-সস্ত্র, মূর্তি,শরীরের কঙ্কাল ইত্যাদি এবং মাটির উপরে পাওয়া নানা জিনিস যেমন— রাজা-রানীর পোশাক, অস্ত্র-সস্ত্র, ছবি নানারকম মূর্তি, বইপত্র ইত্যাদি যে ঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হয় তাকে জাদুঘর বলে। জাদুঘরকে ইংরেজিতে Museum বলে৷
১৭. ইতিহাসের উপাদানগুলি কি কি?
উত্তর: মাটির নীচের থেকে পাওয়া পুরোনো ঘরবাড়ির ধংসাবশেষ, আসবাবপত্র, মুদ্রা, গয়না, অস্ত্র-সস্ত্র, মূর্তি, শরীরের কঙ্কাল ইত্যাদি জিনিসগুলি পুরোনো দিনের সাক্ষ্য, এই জিনিসগুলিকেই ইতিহাসের উপাদান বলে।
১৮. প্রত্নবস্তু বা পুরাবস্তু কাকে বলে?
উত্তর: পুরোনোদিনের হারিয়ে যাওয়া যেসব জিনিস প্র্থতাত্বিকেরা খুঁজে বের করেন সেগুলিকে বলে প্রত্নবস্তু বা পুরাবস্তু।
১৯. লেখমালা কী?
উত্তর: প্রাচীনকালে পাথরে বা ধাতুর পটে লিপি খোদাই করে লেখা হতো। পাথর বা ধাতুর পটে খোদাইকৃত লিপিগুলিকে লেখমালা বলা হয়।
২০. পাথরের গায়ে খোদাই করা লেখাগুলিকে শিলালেখ বলা হয়৷
২১. প্রশস্তি কাকে বলে?
উত্তর: অনেক শাসক তাদের গুণকীর্তি নিজেরাই খোদাই করে রাখতেন। সেগুলিকে প্রশস্তি বলা হয়।
২২. সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের গুণাবলী সম্পর্কে জানতে পারি কিভাবে?
উত্তর: সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের গুণাবলী সম্পর্কে জানতে পারি এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে।
২৩. ধর্মভিত্তিক সাহিত্যের একটি উদাহরণ দাও?
উত্তর: বৈদিক সাহিত্য হল ধর্মভিত্তিক সাহিত্য।
২৪. হর্ষচরিত কার লেখা ?
উত্তর: হর্ষচরিত বাণভট্টের লেখা।
No comments:
Post a Comment