পরিবেশের অবক্ষয় ও দূষণ (Environmental Degradation and Pollution)
পরিবেশের অবক্ষয় (Environmental Degradation)
1. পরিবেশের অবক্ষয় বা ডিগ্রেডেশন কাকে বলে ?
পরিবেশের অবক্ষয় বা এনভায়রনমেন্টাল ডিগ্রেডেশন (Environmental degradation) একটি নেতিবাচক প্রক্রিয়া। এই পৃথিবীর সমস্ত ভৌত, অজৈব এবং জৈব উপাদানগুলি সুদীর্ঘকাল ধরে যে। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বা পরিবেশ তৈরি করেছে, তার গুণমানের হানি বা ক্ষতি হল পরিবেশের অবক্ষয়।
2. পরিবেশের অবক্ষয় দেখা দিয়েছে কেন?
পার্থিব পরিবেশে মানুষের আবির্ভাব ঘটেছে আজ থেকে খুব বেশি হলে মাত্র 35 হাজার বছর আগে। এই 35 হাজার বছরের জন্ম সময়ের মধ্যে মানুষ কৃষিকাজ শিখেছে। জীবজয়কে পোষ মানিয়েছে। ভূগর্ভ থেকে খনিজ সম্পদ ও জ্বালানি সম্পদ আহরণ করার কৌশল আবিষ্কার করেছে। শিল্প প্র স্থাপন করেছে। মানুষের নিজের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছে। বর্তমানে ( 2022 সালে) মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় 794 কোটি। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মুখে অন্ন জোগাতে অরণ্য সাফ করে চাষের জমি তৈরি করতে হয়েছে।
জমিতে এক বারের বদলে দুবার তিনবার চাষ করতে হয়েছে। মাটির উর্বরতা কমে গেলে রাসায়নিক যার নিয়ে মাটিকে চাঙ্গা করতে হয়েছে। তাতে মাটি আগ্নিক হয়ে উঠেছে। নদী থেকে খাল কেটে জলসেচের জন্য জল টেনে নিতে হয়েছে। ফলে নদী তার নিজের পলি, বালি বয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে। নদীর বুকে বাঁধ বেঁধে মানুষ জল ধরে রাখার বন্দোবস্ত করেছে। তার ফলে কৃত্রিম জলাধারে পলি জমে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, ওই বাঁধ আর বর্ষার সময় জল আগের মতো ধরে রাখতে পারে না। জল ধরে রাখার পরিবর্তে জল ছাড়তে হয়। তখন মানুষ মানুষের জন্য বন্যা তৈরি করে। অবশ্য মানুষ মানুষের জন্য কলকারখানা, গাড়ি, বাড়িও বানায়। তবে সে কাজও খুঁতবিহীন নয়। কলকারখানার ধোঁয়া, শিল্পজাত বর্জ্য, ঘর-গৃহস্থালির আবর্জনা এক সঙ্গে জল, জমি আর বাতাসকে নূষিত করে। এর ওপর রয়েছে, মানুষের ওপর মানুষের প্রভুত্বের ইচ্ছা। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার জন্য কিছু মানুষের আপ্রাণ চেষ্টা। যুদ্ধের প্রবৃত্তি। অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষা। পিছিয়ে পড়া দুর্বল মানুষকে বঞ্চিত করে, ধনী মানুষের এগিয়ে চলার অমানবিক প্রতিযোগিতা। ফল—বিজ্ঞানীদের পরিভাষায় পরিবেশের অবক্ষয়।
3. পরিবেশের অবক্ষয় এবং দূষণের উৎস ও উপাদান (Sources and Corati Environmental Degradation and Pollution)
■ পরিবেশের অবক্ষয় এবং পরিবেশ দূষণের উৎস ও উপাদানগুলি কী
প্রকৃতি ও মানুষের নানা কাজ পরিবেশের ক্ষতি করে। পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করে। পরিবেশের এবং দূষণের উৎস দুধরনের, যেমন— (1) প্রাকৃতিক উৎস এবং (2) অপ্রাকৃতিক
পরিবেশের অবক্ষয় ও পরিবেশ দূষণের প্রাকৃতিক উৎসগুলি কী কী ?
(1) আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত বা ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট
(2) প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তন, যেমন- জলবায়ুর পরিবর্তন, মরুভূমিকরণ (desertioগ্রিনহাউস প্রভাব, ওজোন স্তরের বিনাশ।
(3) জলাভূমি অঞ্চল ও জৈব পদার্থের পচনের ফলে সৃষ্ট মিথেন (CH.)।
(4) কয়লা ও পেট্রোলিয়াম খনির মধ্যে আবদ্ধ মিথেন (CH2), কার্বন মনোঅক্সাইড ও পেট্রোলিয়ামজাত অন্যান্য গ্যাস প্রভৃতি।
(5) খাদ্যে ছত্রাকজনিত বিষাক্ত পদার্থ বা মাইকোটক্সিন (mycotoxin)।
4. পরিবেশের অবক্ষয় ও দূষণের অপ্রাকৃতিক উৎস বা মানুষের তৈরি কারণগুলি কী ?
(1) অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধিহার।
(2) সম্পদের অপচয় ও বিনাশ।
(3) যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণ।
(4) কৃষিকাজে নিষিদ্ধ ও অতিরিক্ত কীটনাশকের ব্যবহার যেমন DDT (Dichloro Digh Trichloroethane) জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্য।
(5) কৃষিজমিতে অত্যধিক রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে সঞ্চিত বিষাক্ত নাইট্রেট, যেমন নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO2) বা নাইট্রোজেন পারঅক্সাইড (Nitrogen Peroxide))
কলকারখানা
(6) কলকারখানার আবর্জনা, যেমন— কাগজ, কাপড়, রংপ্রভৃতি শিল্পের অপরিশোধিত বর্জ্যপলা
(7) শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে উদ্ভুত পারদ বা পারদ শ্রেণির যৌগ।
(৪) বিভিন্ন শিল্পে রাসায়নিক বিক্রিয়াপ্রসূত ধাতব কণা, যেমন— টিন, ভ্যানাডিয়াম, আর্সেনিক, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি।
(9) শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কলকারখানা থেকে নির্গত উত্তপ্ত বর্জ্য জল, যা জলে বসবাসকারী উদ্ভি প্রাণীর বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে এবং প্রাণ সংশয় করে।
(10) যানবাহন ও কলকারখানা নিঃসৃত ধোঁয়া ও রাসায়নিক পদার্থ, যা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে“ফোটো-কেমিক্যাল স্মগ”-এ পরিণত হয় (photo chemical smog)।
• বিদ্যুৎ উৎপাদন
(11) বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে নির্গত গ্যাস, যেমন— সালফার ডাইঅক্সাইড (SO-), নাইট্রোজে ডাইঅক্সাইড (NO) এবং গরম জল ।
(12) পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পারমাণবিক বর্জ্য।
পরিবেশের অবক্ষয় ও দুষণ
• যানবাহন
(13) মোটর, লরি, টেম্পো, বাস প্রভৃতি পেট্রোল, ডিজেলচালিত যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস, যথা- কার্বন মনোঅক্সাইড (CO), সালফার ডাইঅক্সাইড (SO.) ইত্যাদি।
(14) শব্দের চেয়ে দ্রুতগামী বিমানের উড়ানের ফলে সৃষ্ট ক্ষতিকর শব্দতরঙ্গ বা "সনিক বুম (sonic) boom)।
গৃহস্থালির কাজ
(15) দাড়ি কামাবার ফোম, রং-এর স্প্রে, বিমানে ব্যবহৃত এরোসল (aerosol)
16 ) রেফ্রিজারেটরে ব্যবহৃত ক্লোরোফ্লুরোকার্বন (Chloroflurocarbons) |
17) কঠিন আবর্জনা (Solid Waste), যেমন- পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যাগ-চাদর, ইট, রাবিশ ইত্যাদি।
(18) কাটা ফলমূল, আমোদ প্রমোদউন্মুক্ত খাবার, রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত রঙিন খাদ্যদ্রব্য।
(19) লাউড স্পিকার, ঢাক, ঢোল ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র থেকে সৃষ্ট অতি চিকিৎসাজাত বর্জ্য,উচ্চগ্রামের শব্দ ইত্যাদি।
(20) | নর্দমার আবর্জনা (sewage) এবং চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে জীবাণু বহনকারী বর্জ্য। রক্তমাখা তুলো, ব্যান্ডেজ, ইনজেকসনের ব্যবহৃত সূচ ইত্যাদি।
5. দূষণ, দূষক সংক্রান্ত ধারণা (Concept of Pollution, Pollutants and Related Aspects)
দূষণ বা পলিউসন কি?
পরিবেশে কোনো পদার্থের নিরাপদ মাত্রার (Threshold Limit Value বা TLV) চেয়ে বেশি মাত্রায় থাকা ও তার ক্ষতিকর প্রভাবকে দূষণ (ইংরেজিতে পলিউসন – pollution) বলে। মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় এমন বহু জিনিসই দূষণ ঘটায়। যেমন- - বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা পোড়ালে বায়ুদূষিত হয়। শিল্প ও গৃহস্থালির আবর্জনা মাটি ও জলকে দূষিত করে।
6. দূষণ কয় প্রকার ও কী কী ?
দূষণ প্রধানত পাঁচ ধরনের, যেমন- (i) বায়ুদূষণ (Air Pollution), (ii) জলদূষণ (Water Pollution), (iii) মৃত্তিকা / মাটি দূষণ (Soil Pollution), (iv) তেজস্ক্রিয়া পদার্থ থেকে দূষণ (Radioactive Pollution), (v) শব্দদূষণ (Noise Pollution)। এছাড়া উল্লেখযোগ্য হল (vi) প্লাস্টিক দূষণ (Plastic Pollution), (vii) আবর্জনা থেকে দূষণ (Waste Pollution), (viii) তাপীয় কারণে দূষণ / তাপীয় উৎস থেকে দূষণ (Thermal Pollution), (ix) দৃশ্যদূষণ (Visual hollation), (x) আলোকনূষণ (Light Pollution) ইত্যাদি। উন্নত ও উন্নতিশীল দেশগুলির মধ্যে দূষণের ধরন ও মাত্রার তফাত আছে।
. পরিবেশ দূষক বা পলিউট্যান্ট কাকে বলে?
পরিবেশে যে কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের পরিমাণ নিরাপদ মাত্রার (TLV) চেয়ে বেশি, যাতে পরিবেশের ক্ষতি হয় বা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাকেই পরিবেশ আইন অনুযায়ী দূষক বা ইংরেজিতে(pollutant) বলে। যেমন- নাইট্রোজেন অক্সাইড, ভাসমান ছাই ইত্যাদি।
8. দূষক বা পলিউট্যান্ট কয় প্রকার ও কী কী ?
পরমাণুর (atom) বৈশিষ্ট্য অনুসারে দূষক বা পলিউট্যান্ট হল কোনো মৌল (elements), অণু molecules) এবং কণা (particles)। আবার পরিবেশে উপস্থিতির ভিত্তিতে দুখক বা পলিউট্যান্ট ।
বায়ুদূষণ, বায়ুদূষক ও প্রভাব (Air Pollution, Air Pollutants and Effects)
9. বায়ু দূষণ কাকে বলে ?
ওয়ালর্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (WHO)-এর মতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ক্ষতিকর পদার্থের সমাবেশ কখন মানুষ ও তার পরিবেশের ক্ষতি করে, সেই অবস্থাকে বায়ুদূষণ (air pollution) বলে।
বায়ুমণ্ডল নির্গত হওয়া দূষিত ধোঁয়া, গ্যাস, গন্ধ,
ধোঁয়াশা, বাষ্প ইত্যাদি যে পরিমাণে ও যতক্ষণ স্থায়ী হলে মদু জীবজন্তু ও উদ্ভিদ জগতের ক্ষতি হয় বা মানুষের চিত্র: কলকারখানার ধোয়ার জন্য বায়ুসু জীবন ও স্বাচ্ছন্দ্যে বাধা দেয়, তাকে বায়ুদূষণ বলে। এখানে উল্লেখ করা যায় যে, বায়ুদূষণের পরিধি ও ব্যাপকতা সবচেয়ে বেশি। কারণ বায়ু সবচেয়ে তাড়াতাড়ি দূষিত পদার্থকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দিতে পারে।
■ বাষণের প্রাকৃতিক কারণ ও উৎসগুলি কী কী?
(1) অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নিঃসৃত সালফার ডাইঅক্সাইড (SO), কার্বন মনোঅক্সাইড (CO),হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস (HS)।
(2) বিভিন্ন জৈব ও অজৈব পদার্থের বিয়োজন বা পচনের ফলে সৃষ্ট গ্যাস।
(3) দাবানল (Wildfire), ধুলিঝড় (Dust devil)।
(4) ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফানজাই (fungi), অ্যালজি (algae), পরাগরেণু (pollen) ইত্যাদি।
10. বায়ুদূণের অপ্রাকৃতিক বা মানুষের তৈরি কারণগুলি কী কী?
(I) ধূলিকণা : খনি এলাকার ধূলোবালি, ধূলিকণা, শিল্পজাত বুলি (যেমন- ফ্লাই অ্যাশ), কালিঝুলি (১০০০), ধোঁয়া ইত্যাদি।
(2) এরোসল : দাড়ি কামানোর ফোম ও স্প্রে, বিমানে ব্যবহৃত এবং কেরোসিন স্টোভ থেকে নির্গত এরোসল (aerosols) |
(3) দূষক গ্যাস : যানবাহন ও কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস, যেমন— কার্বন মনোঅক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড, হাইড্রোকার্বন, নাইট্রোজেন অক্সাইড ইতাদি। হাইড্রোকার্বন ও কার্বন মনোঅক্সাইডের প্রধান উৎস হল কয়লা, পেট্রোল প্রভৃতি জ্বালানির অসম্পূর্ণ দহন।
(4) বনবিনাশ : অরণ্য ধ্বংস করার ফলে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড-এর পারস্পরিক ভারসাম্যের হানি ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি।
(5) দুর্ঘটনা :-যুদ্ধবিগ্রহের ফলে বা পারমাণবিক চুল্লিতে দুর্ঘটনার ফলে তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণ (যেমন- ইউক্রেনে চেনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনা বা হিরোসিমা নাগাসাকিতে পরমাণু বোমার ধ্বংসলীলা) ইত্যাদি।
11. পরিবেশ মানুষের ওপর বায়ুদূষণের প্রভাব কী?
বায়ুদূষণ মানুষের ক্ষতি করে। যেমন-
(1) ধোঁয়াশার প্রভাবে চোখ জ্বালা করে। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়।
(2) সালফার ডাইঅক্সাইডের প্রভাবে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা প্রভৃতি রোগ হয়।
(3) নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের (NO) জন্য শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসের ক্ষতি হয়। নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
(4) কার্বন মনোঅক্সাইডের জন্য রক্তের অক্সিজেন সংবহন ক্ষমতা বিঘ্নিত হয়।
(5) বেঞ্জ পাইরিনের (Benzopyrene CapH12) জন্য ক্যানসার হয়। এখানে উল্লেখ করা দরকার যে, রাস্তায় দেওয়ার জন্য পিচ গলানোর সময়ে যে ধোঁয়া বেরোয়, তাতে বেঞ্জপাইরিন জাতীয় যৌগ পাওয়া যায়।
(6) বাতাসে ভাসমান সিসা, বালি, কয়লার গুঁড়ো ইত্যাদি শ্বাসনালি ও ফুসফুসের ক্ষতিকরে। স্নায়ুরোগের কারণ হয়।
12. বায়ুদূষণের মূল উপাদানগুলি কী কী?
যে সাতটি উপাদানের মাত্রা বা পরিমাণের ওপর নির্ভর করে বায়ুদূষণ ঘটে, সেগুলি হল-
(1) সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2-),
(2) নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx).
(3) বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণিকা (Suspended Particulate Matter অর্থাৎ SPM),
(4) কার্বন মনোঅক্সাইড (CO).
(5) সিসা (Pb),
(6) উদ্বায়ী জৈব যৌগ (Volatile Organic Compound বা VOC), এবং
(7) বায়ুর আর্দ্রতা (moisture)।
13. মুখ্য বায়ুদূষক বা প্রাইমারি এয়ার পলিউট্যান্ট বলতে কী বোঝায়?
প্রাকৃতিক কারণে বা মানুষের বিভিন্ন কাজকর্মের মাধ্যমে সৃষ্ট যে সমস্ত বায়ুদূষক তাদের উৎস (source) থেকে সরাসরি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তাদের মুখ্য বায়ুদূষক (Primary Air Pollutants সংক্ষেপে PAPs) বলে। বায়ুমণ্ডলে দূষণের প্রায় 90% এই দূষকগুলির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। উদাহরণ- সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোঅক্সাইড, কার্বনডাইঅক্সাইড, অধিকাংশ হাইড্রোকার্বন, বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম কণিকা ইত্যাদি।
14. বায়ুর গৌণ দূষক বা সেকেন্ডারি পলিউট্যান্টগুলি কী কী ?
বায়ুতে যে সমস্ত স্বাভাবিক যৌগগুলি পাওয়া যায়, তার সঙ্গে মুখ্য দূষকগুলির বিক্রিয়ার ফলে সৃি রাসায়নিক পদার্থগুলিকে গৌণ বায়ুদূষক (Secondary Air Pollutants সংক্ষেপে SAPs) বলে যেমন— ধোঁয়াশা, ওজোন গ্যাস, সালফার ট্রাইঅক্সাইড (So3), হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড (H2O2) সালফিউরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
এখানে উল্লেখ্য যে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে হাইড্রোকার্বন (HC) এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড (NOx) বিক্রিয়া করে এবং ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে। তেমনি জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে সালফার ডাইঅক্সাইড নাইট্রোজেন অক্সাইড অ্যাসিড তৈরি করে।
15. বায়ুদূষক অর্থাৎ আনকনভেনশন্যাল এয়ার পলিউট্যান্টগুলি কী কী ?
যে সমস্ত বায়ু দূষকগুলি মানুষের কাজের ফলে তৈরি হয় অর্থাৎ যে বায়ু দূষকগুলির প্রাকৃতিক উ নেই, তাদের প্রগৌণ বায়ুদূষক (Unconventional Air Pollutants. যেমন— পারদ, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি। - সংক্ষেপে UAPs) বলে।
ধন্যবাদ আপনাকে যিনি এইটি এখানে দিয়েছেন
ReplyDeleteDichloro Digh Trichloroethane thanku
ReplyDelete