বিপ্লবী আদর্শ নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
1. 'বিপ্লবের সন্তান' নামে কে পরিচিত ছিলেন?
Ans. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট।
2. নেপোলিয়ন কবে প্রথম ফ্রান্সের কনসাল পদে অধিষ্ঠিত হন?
Ans. ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে।
3. কবে ও কাদের মধ্যে নীলনদের যুদ্ধ হয়?
Ans. ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে নীলনদের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
4. কে, কবে ফ্রান্সের ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান ঘটান?
Ans. নেপোলিয়ন বোনাপার্ট ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান ঘটান।
5. আমিই বিপ্লব, আবার আমিই বিপ্লবকে ধ্বংস করেছি" - কথাটি কে বলেছিল?
Ans. নেপোলিয়ন।
6. নেপোলিয়ন কবে রাশিয়া আক্রমণ করেন?
Ans. ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে।
7. কোন সময়কে "নেপোলিয়নের যুগ" বলা হয়?
Ans. ১৭৯৯ - ১৮১৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে "নেপোলিয়নের যুগ" বলা হয়।
8. কে মহাদেশীয় ব্যবস্থা ঘোষণা করেন?
Ans. নেপোলিয়ন।
9. কবে ও কাদের মধ্যে ট্রাফালগারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়?
Ans. ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ট্রাফালগারের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
10. টিলসিটের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
Ans. ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে।
11. কে ও কবে 'কোড নেপোলিয়ন' প্রবর্তন করেন?
Ans. ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন, ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে 'কোড নেপোলিয়ন' প্রবর্তন করেন।
12. নেপোলিয়নকে 'দ্বিতীয় জাস্টিয়ান' বলা হয় কেন?
Ans. নেপোলিয়ন আইন বিধি সংকলন করেছিলেন বলে তাকে 'দ্বিতীয় জাস্টিয়ান' বলা হয়।
13. কোন গ্রন্থকে "ফরাসি সমাজের বাইবেল" বলা হয়?
Ans. নেপোলিয়নের আইনসংহিতাকে।
14. ওয়াটারলুর যুদ্ধ কবে সংঘটিত হয়?
Ans. ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে।
15. নেপোলিয়ন কোন দেশের বিরুদ্ধে মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন?
Ans. ইংল্যান্ড।
প্রশ্নের মান- ০২
১. কনসুলেটের শাসন কী?
Ans. ফরাসি সেনাপতি নেপোলিয়ন ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ডাইরেক্টরির শাসনের অবসান ঘটিয়ে ফ্রান্সে এক নতুন শাসনব্যবস্থা চালু করেন। নেপোলিয়ন সহ এই ব্যবস্থায় মোট তিনজন কনসালের হাতে ফ্রান্সের শাসনভার তুলে দেওয়া হয়। এটি 'কনসুলেটের শাসন' নামে পরিচিত।
২. কোড নেপোলিয়ন কী?
Ans. ফ্রান্সের প্রথম কনসালরূপে ও ফরাসি জাতির সম্রাটরুপে নেপোলিয়ন ফ্রান্সের জন্য যে নাগরিক, ফৌজদারি ও বাণিজ্যিক আইন সমষ্টির সংকলন প্রবর্তন করেছিলেন (১৮০৪)। এটি 'কোড নেপোলিয়ন' নেপোলিয়ন নামে পরিচিত।
৩. শতদিবসের রাজত্ব বলতে কী বোঝ?
Ans. নেপোলিয়ন এলবা দ্বীপে নির্বাসিত হওয়ার পর পরিস্থিতির সদব্যবহার করে ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে প্রত্যাবর্তন করেন ও ফ্রান্সের সিংহাসনে বসেন। পুডিং থেকে তিনি মোট ১০০ দিন রাজত্ব করেছিলেন (২০ মার্চ - ২২ জুন)। এটি "শতদিবসের রাজত্ব" নামে পরিচিত।
৪. মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা কী?
Ans. ফ্রান্সের চিরশত্রু ইংল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য পঙ্গু করার জন্য নেপোলিয়ন ১৮০৬ থেকে ১৮১০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে যে অর্থনৈতিক অবরোধ নীতি গ্রহণ করেছিলেন, তা মহাদেশীয় অবরোধ ব্যবস্থা নামে পরিচিত।
৫. পোড়ামাটি নীতি কী?
Ans. নেপোলিয়ন কর্তৃক রাশিয়া অভিযানের সময় (১৮১২) রাশিয়ার সৈন্যরা যুদ্ধ না করে পিছিয়ে গিয়ে খাদ্য ও শস্যভান্ডার গুলি জ্বালিয়ে দেয়, পানীয় জলে বিষ মিশিয়ে দেয়। এইভাবে তারা শত্রুপক্ষের অগ্রগতি ব্যাহত করে। এই রণকৌশল পোড়ামাটি নীতি নামে পরিচিত।
৬. কনফেডারেশন অব দ্য রাইন কী?
Ans. ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন জার্মানির উটেমবার্গ, বেডেন, হেসবার্গ প্রভৃতি ছোট ছোট রাজ্য দখল করে এদের নিয়ে একটি রাষ্ট্র সমবায় গঠন করেন। এটি কনফেডারেশন অব দ্য রাইন নামে পরিচিত।
৭. লিজিয়ন অব অনার কী?
Ans. ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন রাজকর্মচারীদের উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে দক্ষ কর্মচারীদের একটি বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানের উদ্যোগ নেন। এই সম্মান লিজিয়ন অব অনার নামে পরিচিত।
৮. স্পেনীয় ক্ষত কী?
Ans. স্পেনের অভ্যন্তরীণ বিরোধের সুযোগে নেপোলিয়ন ১৮০৮ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের সিংহাসনে নিজের ভাই জোসেফ বোনাপার্টকে বসান। এটা স্পেনবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে পর্তুগাল ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে একসাথে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে নেপোলিয়ন পরাজিত হন ও তার মান মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়। তার এই ব্যর্থতা স্পেনীয় ক্ষত নামে পরিচিত।
9.ডিরেক্টরির শাসন' বলতে কী বােঝে?*
উত্তর ১৭৯৫ খ্রিস্টাব্দের সংবিধান অনুসারে ফ্রান্সের শাসনভার ৫ জন ‘ ডিরেক্টর' বা ব্যক্তির এক কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই শাসন ‘ডিরেক্টরির শাসন’ (১৭৯৫-১৭৯৯ খ্রি.) নামে পরিচিত। এই শাসনব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত অদক্ষ ও দুর্নীতিগ্রস্ত। ডিরেক্টরদের শাসনকালে ফ্রান্সের শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল।
10. নেপােলিয়নের যুগ' বলতে কী বােঝায়?
উত্তর নেপােলিয়ন বােনাপার্ট ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দের ৯ নভেম্বর ‘ডিরেক্টরি’ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ফ্রান্সের শাসনক্ষমতা দখল করেন। এরপর তিনি ফ্রান্সে কনস্যুলেট (Consulate) নামে এক নতুন শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেন এবং সর্বশক্তিমান প্রথম কনসাল
11. কাম্পাে ফমিও-ই সগির শর্ত কী ছিল?
উত্তর। ১৭৯৭ খ্রিস্টাব্দে নেপোলিয়ন ও অস্ট্রিয়ার সম্রাট দ্বিতীয় ফ্রান্সিসের মধ্যে ক্যাম্পাে ফমিও-বা সন্ধি স্বাক্ষরিত হয়।
সন্ধির শর্ত : ক্যাম্পাে ফমিও-র সন্ধির শর্ত অনুযায়ী অস্ট্রিয়া ফ্রান্সকে লােম্বাডি, জেনাে এবং নেদারল্যান্ডের কিছু অংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। বেলজিয়াম প্রদেশের উপর ফ্রান্সের কর্তৃত্ব অস্ট্রিয়া মেনে নেয়।
12. কত খ্রিস্টাব্দে নেপােলিয়ন নিজেকে সম্রাট বলে ঘােষণা করেন? কোন্ পােপ নেপােলিয়নকে সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেন?
উত্তর ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর নেপােলিয়ন নিজেকে সম্রাট বলে ঘােষণা করেন।
পােপ সপ্তম পায়াস প্যারিসের নােটরডাম চার্চে উপস্থিত থেকে নেপােলিয়নকে সম্রাট পদে অভিষিক্ত করেন। নেপােলিয়ন ফরাসি জাতির সম্রাট উপাধি ধারণ করেন
13. কনকর্ডাট বলতে কী বােঝ?*
উত্তর। ১৭৯১ খ্রিস্টালে সিভিল কনচিটটিউশন অফ দ্য ক্লার্জি নামক আইন দ্বারা পাপের মত বিনষ্ট করা হয় এবং ফ্রান্সের চার্চগুলির জাতীয়করণ করা হয়। এর ফলে পোপের সঙ্গে ফরাসি সরকারের বিরােধ বাধে।১৮০১ খ্রিস্টাব্দে নেপােলিয়ন চার্চের জাতীয়করণ নীতির সঙ্গে পােপের দাবির সমতা রক্ষা করে যে মীমাংসা সুত্র বা সমাধান সূত্র রচনা করেন, তা কনকর্ডাট' নামে পরিচিত।
14. কনকর্ডাট'-এ কী বলা হয় ?*
উত্তর ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে নেপােলিয়ন ও পােপ সপ্তম পায়াস দ্বারা
যৌথভাবে প্রবর্তিত কনকর্ডাটে বলা হয়—
1] ফ্রান্সে চার্চের যাজকগণ সরকার দ্বারা নিযুক্ত হওয়ার পর পােপসেই নিয়ােগ অনুমােদন করবেন 2। প্রত্যেক যাজক ফরাসি সরকারের কাছ থেকে নির্দিষ্ট বেতন পাবেন।
[3] ফ্রান্সে ক্যাথলিক ধর্ম চালু থাকবে তবে তার উপর ফরাসি সরকারের নিয়ন্ত্রণ জারি করা হবে।
[4] বিপ্লবী আমলে ফরাসি সরকার রাষ্ট্রের যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল পােপ তা স্বীকার করে নেবেন।
15. কোড় নেপােলিয়ন বা নেপােলিয়নের আইন সংহিতা বলতে কী বােঝায়? কোড় নেপােলিয়ন’-এ কোন নীতির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয় ?*
উত্তর: নেপােলিয়ন ফরাসি বিপ্লবের ‘সাম্য’-এর আদর্শের দ্বারা প্রচলিত পরস্পরবিরােধী (রােমান ও প্রাকৃতিক) আইনগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে সমগ্র ফ্রান্সে এক ধরনের আইন প্রণয়নের উদ্যোগ। তার উদ্যোগে আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুসারে ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে নতুন আইনবিধি প্রবর্তিত হয়।১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে নেপােলিয়ন এর নামকরণ করেন কোড নেপােলিয়ন (Code Napoleon)। এতে বলা হয় আইনের চোখে সকলেই সমান।
1. টীকা লেখাে : কোভ নেপােলিয়ন (Code Napoleon)
অথবা, টীকা লেখাে : নেপােলিয়নের আইন সংহত =
উত্তর: কোড নেপােলিয়ন নেপােলিয়ন ফ্রান্সে প্রচলিত বিভিন্ন আইন বাতিল করে সমগ্র ফ্রান্সের জন্য যে আইন সংহিতা কার্যক্ত করেছিলেন তা কোড নেপােলিয়ন (Code Napoleon) * নামে পরিচিত। নেপােলিয়নের সর্বাপেক্ষা উল্লেখযােগ্য কীর্তি হল ব্রাসি বিপ্লবের আদর্শের প্রেক্ষিতে কোভ নেপােলিয়ন প্রণয়ন। তার এই কৃতিত্বের জন্য তাকে দ্বিতীয় জাস্টিনিয়ান’ বলা হয়।
.
2) নেপােলিয়নকে বিপ্লবের সন্তান' বলা হয় কেন?
অথবা, নেপােলিয়নকে ‘বিপ্লবের সন্তান’বলা যায় কি? অথবা, নেপােলিয়ন কীভাবে বিপ্লবের আদর্শকে বাস্তবায়িত করেছিলেন?*
উত্তর:- প্রথম কনসাল হিসেবে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হলেও নেপােলিয়ন অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে, বিপ্লবের ফলে ফরাসিদের মনে যে উচ্চাশার সৃষ্টি হয়েছে, তা পূরণ করতে না পারলে খুব বেশিদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। তাই তিনি নিজেকে বিপ্লবের সন্তানরূপে তুলে ধরেন। তিনি স্বাধীনতা ছাড়া বিপ্লবের অপর দুটি আদর্শ সাম্য’ও ‘মৈত্রী’-কে বাস্তবায়িত করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
নেপােলিয়নের রাজপদে উত্থান : নেপােলিয়ন নিজে ছিলেন সাম্যের প্রতীক। অতি সাধারণ এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী না হয়েও ফ্রান্সের সম্রাট পদে আসীন হন জনগণের ভােটের দ্বারা। বিপ্লবের সাম্যবাদী আদর্শই জনগণের দ্বারা তার উত্থানকে সম্ভবপর করেছিল। ও বিপ্লবকালীন ফ্রান্সে সংবিধান সভা কর্তৃক প্রচলিত
নিয়মগুলি বহাল রাখা; সংবিধান সভা ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ আগস্ট সামন্তপ্রথা, ভূমিদাসপ্রথা, সামন্তকর, করভি বা বেগার খাটা,টাইথ বা ধর্মকর ইত্যাদির বিলােপসাধন করেছিল। নেপােলিয়ন এইসব বিপ্লবী নিয়মগুলিকে বহাল রেখে বিপ্লবকে সম্মান জানিয়েছিলেন।
আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠা ; নেপােলিয়ন ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে প্রচলিত আইনগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধন করে ‘কোড নেপােলিয়ন’ প্রণয়ন করেন। এর ফলে ফ্রান্সে আইনের চোখে সমতার নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিগবেন্ন থায়িত্ব দান : বিপ্লবী ফ্রান্সকে রক্ষা করার জন নেপােলিয়ন একাধিকবার প্রতিক্রিয়াশীল বিভিন্ন শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিকে গড়ে তুলে ফ্রান্স ও বিপ্লব উভয়কেই দুঃক্ষা করেছিলেন।
ইউরােপে বিপ্লবের আদর্শ প্রসার : ফ্রান্সের পাশাপাশি ইটালি জার্মানি সহ ইউরােপের অন্যান্য রাষ্ট্রেও নেপােলিয়ন বিপ্লবের আদর্শের প্রসার ঘটান। তার শাসনাধীনে ওইসব দেশে সামন্তপ্রথার অবসান হয়
এবং আইনের মাধ্যমে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। নেপােলিয়ন বােনাপার্ট তার শাসনকালে আইনের সাম্য,
সামন্ততান্ত্রিক শােষণের অবসান, আইনবিধি প্রণয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেকে বিপ্লবের ধারক ও বাহকরূপে প্রতিষ্ঠা করেন। বিপ্লবের মধ্য দিয়েই উত্থান ঘটেছিল। কাজেই তিনি ছিলেন বিপ্লবের সন্তান'
3. নেপােলিয়নকে ‘বিপ্লবের ধ্বংসকারী' বলা হয় কেন?
অথবা, নেপােলিয়ন, কীভাবে বিপ্লবের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন বা সরে এসেছিলেন ?
উত্তর:- নেপােলিয়ন বােনাপার্ট বিপ্লবের তিনটি আদর্শের মধ্যে সাম্য ও মৈত্রীর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করলেও স্বাধীনতার আদর্শসহ বিভিন্ন বৈপ্লবিক ভাবধারাকে ধ্বংস করেন। তাঁর সংস্কারের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে।
বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নেপােলিয়ন যখন স্বাধীনতা বা গণতন্ত্রকে পদানত করে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তখন তিনি ছিলেন বিপ্লবের ধ্বংসকারী। এক্ষেত্রে তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন, আমি বিপ্লবকে ধ্বংস করেছি।
বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা : ফরাসি বিপ্লবের দ্বারা রাজতন্ত্রের অবসান ঘটলেও ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে নেপােলিয়ন নিজেকে সম্রাট হিসেবে ঘােষণা করে ফ্রান্সে পুনরায় বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। রাজতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তন ও জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব- অনুষ্ঠান প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে তিনি বিপ্লবের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন।
স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস : নেপােলিয়ন ফ্রান্সে প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে তুলে দিয়ে গণতন্ত্রের মুখােশে পুলিশি রাষ্ট্র স্থাপন করেন। রাজনৈতিক দলগুলির স্বাধীন কার্যকলাপ সীমাবদ্ধ করে দেন। এ ছাড়া তিনি প্রাদেশিক আইনসভাগুলির ক্ষমতা, মানুষের বাক্স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করেন— যা ফরাসি বিপ্লবের স্বাধীনতার আদর্শের পরিপন্থী ছিল।
শিক্ষাক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ : নেপােলিয়নের শিক্ষানীতির আসল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষিত সমাজকে সম্রাট ও রাষ্ট্রের অনুগত শ্রেণিতে পরিণত করা। তিনি জেকোবিনদের সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষানীতি বাতিল করে বিপ্লবের আদর্শকে ধ্বংস করেন। নারীশিক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি ছিলেন উদাসীন।
ধর্মীয় ক্ষেত্রে বিচ্যুতি : তিনি ফরাসি বিপ্লবকালের ধর্মীয় নীতির। বেশকিছু ভাবধারা বর্জন করেছিলেন। ১৮০১ খ্রিস্টাব্দের ধর্মমীমাংসা চুক্তির মাধ্যমে ক্যাথলিক চার্চের ক্ষমতাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন।
বিপ্লবের ধ্বংসকারী : নেপােলিয়ন বহু ক্ষেত্রেই বিপ্লবের আদর্শ লঙ্ঘন করেছিলেন। ট্রটস্কি (Trotsky) বলেছেন- সামরিক শক্তির দ্বারাই নেপােলিয়ন বিপ্লবকে ধ্বংস করেছেন। আসলে তিনি আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্যই বিপ্লবকে নিজের প্রয়ােজনমতাে ব্যবহার করেছেন। অনুরূপভাবে লেফেভর, মাতিয়ে, গুডউইন প্রমুখ ঐতিহাসিকদের মতানুসারে, নেপােলিয়ান বিপ্লবের ধ্বংসকারী ছিলেন।
4. ট্রাফালগারের দু (Battle of Trafalgar) সম্পর্কে টীকা লেখে?
উত্তর:- ট্রাকালগারের বুত্ব হয়েছিল ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড ও ঙ্গের মধ্যে। এই যুদ্ধে ফ্রান্স পরাজিত হয়।
যুদ্ধের পটভূমি : ইংল্যান্ড ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে তৃতীয় শক্তিজোট গঠন করে। এই জোটের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি হজ-রশিয়া, অস্ট্রিয়া ও সুইডেন। নেপােলিয়ন ইউরােপের প্রধান শর্তি ইংল্যান্ডকে পরাজিত তে সচেষ্ট হয়েছিলেন। তিনি ইংলিশ চ্যানেল ক্রিম করে ইংল্যান্ড আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। ইংল্যান্ড ছিল নৌশক্তি ও ফ্রান্স ছিল স্বলশক্তিতে বলীয়ান। ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের লড়াই ছিল মূলত নৌশক্তি বনাম স্বলশক্তির লড়াই। তাই নেপােলিয়ন চেয়েছিলেন, ইংলিশ চ্যানেলের উপর সাময়িকভাবে দখলদারিকায়েম গরে ইংল্যান্ডেরথলভূমিতে পৌছে যেতে।
নেপােলিয়নের ইংল্যান্ড জয়ের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। কারণ ব্রিটিশ নৌসেনাপতি নেলসন ফরাসি নৌসেনাপতি অ্যাডমিরাল ভিলেনেউভট্টোকালগারের যুদ্ধে পরাজিত করেন (২১ অক্টোবর, ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ)। ফ্রান্সের নৌবাহিনী সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয় ফলে নেপােলিয়নের ইংল্যান্ড জয়ের স্বপ্ন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
5. নেপােলিয়ন কেন স্পেন আক্রমণ করেন?
উত্তর: মহাদেশীয় অবরােধ ব্যবথা কার্যকর করার উ,সমগ্র আইবেরীয় উপদ্বীপের উপর কর্তৃত্ব স্থাপনের প্রয়ােজন ছিল।নেপােলিয়ান পাের্তুগাল আক্রমণ করলেও তার মূল লক্ষ্য ছিল পেন। দখল।তবে তার স্পেন আক্রমণের পিছনে বেশ কিছু অন্য কারণও ছিল।
স্পেন আক্রমণের কারণ :
[1] নেপােলিয়নের ইচ্ছা ছিল স্পেনীয় নৌবাহিনী দখল করে তাকে আরও শক্তিশালী করে তােলা।
[2] ইউরােপের অন্যান্য দেশের মতাে স্পেনও তাকে 'মুক্তিদাতা' বলে অভিনন্দন জানাবে~~ এই ছিল নেপােলিয়নের আশা। কিন্তু তিনি স্পেনীয়দের মনােভাব বুঝতে পারেননি।
[[3] স্পেন এবং প্রশিয়া মিলিতভাবে ফ্রান্স আক্রমণের পরিকল্পনা করছে জেনে নেপােলিয়ন বাধ্য হয়ে স্পেন দখলে অগ্রসর হন।
[[4) নেপােলিয়ন মনে করতেন যে, নিজের বংশের শাসনক্ষমতা বজায় রাখতে গেলে স্পেনকে দখলে আনতে হবে। এ ছাড়াও স্পেনের অথির রাজনৈতিক অবস্থাকে নেপােলিয়ান কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন
6.টীকা লেখাে : নেপােলিয়নের স্পেনীয় ক্ষত?
উত্তর : নেপােলিয়নের পতনের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল স্পেনীয় ক্ষত।‘স্পেনীয় ক্ষত’বলতে বােঝায় নেপােলিয়নের স্পেন আক্রমণের পর স্পেনীয়দের রুখে দাঁড়ানাে এবং তাকে পিছু হটতে বাধ্য করা যা নেপােলিয়নের জীবনে ক্ষতের মতাে ছিল।
*স্পেন আক্রমণ :মহাদেশীয় অবরােধ ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য নেপােলিয়ন পাের্তুগাল জয় করেন। তারপর স্পেন আক্রমণ ও দখল করেন। তিনি স্পেনের বুরবো বংশীয় রাজা চতুর্থচার্লসকে সরিয়ে নিজের ভাই জোসেফকে সিংহাসনে বসান।
স্পেনীয়দের প্রতিরােধ : স্পেনের জনগণ নেপােলিয়নের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবল প্রতিরােধ গড়ে তােলে। স্পেনীয়রা নিজেদের বিবাদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ফরাসিবাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ সংগ্রাম শুরু করে। ইংল্যান্ড ও পাের্তুগাল এই যুদ্ধে যােগ দেয়। একে উপদ্বীপের যুদ্ধ’ বলা হয়।
নেপােলিয়নের পরাজয় : ইংরেজ সেনাপতি আর্থার ওয়েলেসলির হাতে নেপােলিয়নের ফরাসিবাহিনী ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়। নেপােলিয়ন স্পেন ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর নেপােলিয়ন আক্ষেপ করে বলেছিলেন ‘স্পেনীয় ক্ষতই আমার পরাজয়ের মূল কারণ।
7. টি টিলসিটের সন্ধি' কবে ও কাদের মধ্যে হয়।? এই সন্ধির শর্ত ও গুরুত্ব কী ? তাথবা, টাকা লেখে। : টিলাসিটের সন্ধি ?
১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে ফ্রিডল্যান্ডের যুদ্ধে নেপােলিয়নের কাছে পরাজিত হয়ে রাশিয়ার জার প্রথম আলেকজান্ডার ফ্রান্সের সঙ্গে টিলসিটের সন্ধি' স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন।
* শর্ত :
1। নেপােলিয়ন ইউরােপে যেসকল রাজনৈতিক সংগঠন স্থাপন করেন, রাশিয়ার জার তা মেনে নেন।
[2] পরাজিত শক্তির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় নীতির স্বীকৃতি দেন।
[3] ফ্রান্স ও রাশিয়ার মধ্যে আত্মরক্ষামূলক মিত্রতা স্থাপিত হয়।
4। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের দ্বন্দ্বে নেপােলিয়ন জারের পক্ষ নিতে রাজি হন। সুইডেনের প্রতি জারের আগ্রাসন নীতিকেও নেপােলিয়ন সমর্থন জানান।
5। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ফ্রান্সের দ্বন্দ্বে জার মধ্যস্থতায় রাজি হন।
গুরুত্ব :
1। টিলসিটের সন্ধির ফলে ফ্রান্সবিরােধী তৃতীয় শক্তিজোট ভেঙে যায়।
2। নেপােলিয়ন রাশিয়াকে নিরপেক্ষ রাখতে সক্ষম হন।
3 | পূর্ব সীমান্তে নেপােলিয়নের আর কোনাে ভয় না থাকায় তিনি সমস্ত শক্তি পশ্চিম প্রান্তে নিয়ােগ করতে পেরেছিলেন।
4। নেপােলিয়নের গৌরব ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
5। টিলসিটের সন্ধিতে রাশিয়ার বিশেষ ক্ষতি হয়নি। তবে প্রাশিয়াকে তর ধাশ হারাতে হয়। প্রাশিয়ার দুটি অংশে দুটি নতুন আজ হঠত হয় যথা- ওয়েস্টফেলিয়া ও গ্র্যান্ড ডাচি অফ এরশ টিসিটের সন্ধি হল নেপােলিয়নের চূড়ান্ত ক্ষমতার অভিব্যক্তি। এই সুফি হয় ফলে প্রায় সমগ্র ইউরােপ তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে
পড়ে তিনি ইউরােপের ভাগ্যবিধাতা হয়ে ওঠেন এবং ফলস্বরূপ পেনিনসুলার ও যুষে জড়িয়ে পভেন। এর পরিণামে তার পতন ঘটে তাই ঐতিহাসিকরাইকর (Rikar) যথার্থই বলেছেন, টিসিটের একক থেকে নেপোলিয়নের সৌভাগ্যের অবসান সূচনা করে।
1.কোড নেপােলিয়ন (Code Napoleon) বলতে কী বােঝাে? কোড নেপােলিয়নের মাধ্যমে নেপােলিয়ন কীভাবে ফরাসি বিপ্লবের আদর্শ রক্ষা করেন?
উত্তর কোড নেপােলিয়ন (Code Napoleon) (ফরাসি সম্রাট নেপােলিয়ন বােনাপার্টের সংস্কার কর্মসূচিগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযােগ্য গুরুত্বপূর্ণ হল ‘কোড নেপােলিয়ন’(Code Napoleon) বা ‘আইনবিধির প্রবর্তন’। তার শাসনকালের পূর্বে ফ্রান্সের নানা স্থানে নানা ধরনের বৈষম্যমূলক ও পরস্পরবিরােধী আইন প্রচলিত ছিল। নেপােলিয়ন সমগ্র ফ্রান্সে একই ধরনের আইন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে জন বিশিষ্ট আইনজীবীকে নিয়ে একটি পরিষদ গঠন করেন। এই পরিষদের প্রচেষ্টায় দীর্ঘ চার বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে যে আইনবিধি সংকলিত হয়, তা কোড নেপােলিয়ন’নামে খ্যাত) ২২৮৭টি বিধি সংবলিত
CODE এই আইন সংহিতা তিন ভাগে বিভক্ত ছিল--- দেওয়ানি, @ ফৌজদারি এবং@ বাণিজ্যিক আইন। আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সম্পত্তির NAPOLEON অধিকারের স্বীকৃতি ছিল এই আইন সংহিতার উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য।
ইউরোপে জাতীয়তাবাদের প্রসারে নেপােলিয়নের ভূমিকা কোনাে কোনাে ঐতিহাসিক মনে করেন, ইউরােপের এবং বিশেষ করে জার্মানি ও ইটালির পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে নেপােলিয়ন ওই সকল দেশে জাতীয় ঐক্য স্থাপনের নীতিকে গ্রহণ করেন। নেপােলিয়ন বিঙ্গির রাজ্যগুলিতে একই ধরনের শাসনব্যবস্থা, কাঠামাে, বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষা ও আইনবিধি প্রবর্তন করে পুরাতন ব্যবস্থা ভেঙে দেন। রাজ্যগুলি নেপােলিয়নের অধীনেই জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্বাদ অনুভব ক্লাতে শেখে। এই জাতীয়তাবােধই একসময় তাদের সাহায্য করেছিল নেপােলিয়নের অধীনতা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করতে।
2.কী কারণে নেপােলিয়নের মধ্যে অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। মস্কো অভিযানের ব্যর্থতা নেপােলিয়নের পতনকে কতটা ত্বরান্বিত5+3
উঃ নেপােলিয়ন ও তার ব্যর্থ মন্ত্র অভিন। ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন ১৮১২ খ্রিস্টালের জুন মাসে ৬ লক্ষাধিক সৈন্যের এক বিট বাহিনী নিয়ে রাশিয়া আক্রমণ করেন। কিন্তু তার এই অভিযান নানাবিধ কারণে ব্যর্থ হয়েছিল- থে বাশিয়ার পােড়ামাটির নীতি নেপােলিয়নের ফরাসিবাহিনী মস্কোর অভিমুখে রওনা দিলে শেবাহিনীশ পিছু হটতে থাকে এবং‘পােড়ামাটির নীতি গ্রহণ করে। এই নতি অনুসারে বাহিনী পিছু হটার সময় পরিত্যক্ত আন, বস্ত্র, বাসস্থান, শসের যেত, পানীয় জল এমনভাবে নষ্টতে থাকে
যাতেশরুবাহিনী সেগুলি ব্যবহাররার সুযােগ না পায়। অক্টোবরের শেষের নিতে মান, বস্ত্র ইত্যাদির অভাব ফরাসি সেনাদলের মনােবল ভেঙে দেয়।
[2] রাশিয়ায় প্রাকৃতিক অব রাশিয়ার প্রাকৃতিক অবস্থাও নেপােলিয়নের মুদ্ধে অভিযানকে ব্যর্থতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। রাশিয়ায় জুলাই হেলিশ হন মাসের প্রবল বর্ষণ, আগস্টের প্রচণ্ড দাবদাহ, অক্টোবরের তীব্র শীতেরকামড় এবং সর্বোপরি টাইফাস নামক জ্বরের প্রকােপ নেপােলিয়নকে হলে ফিরে যেতে বাধ্য করে।
3.রশবাহিনীর আক্রমণ অক্টোবরের শেষের দিকে খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদির অভাব এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় ফরাসিবাহিনী প্রচণ্ড দুর্বিপাকে পড়ে। এইরকম গরিমিতিতে গ্র্যান্ড আর্নির অনেক সেনাই বুশ কোসাক গেরিলাদের হাতে প্রাণ হারান।
গুজবের প্রভাব প্যারিসে ম্যান্টে নামে এক প্রজাতন্ত্রী সেনাপতি নেপােলিয়নের মৃত্যুসংবাদ রটিয়ে সিংহাসন দখলের চেষ্টা কাছে মস্কোতে হবঘকালে এই সংবাদ পেয়ে নেপােলিয়ন সিংহাসন রক্ষার তাগিদে দুত ফ্রান্সে ফেরার সিন্ধান্ত নেন।
উপরােন্ত আলােচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, কোনাে একটি বিশেষকারণ নয়, বরং একাধিক প্রতিকূল অবস্থা নেপােলিয়নের মস্কো অভিযানকে ব্যর্থ হরেছিল।
No comments:
Post a Comment